ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনের উন্নয়নকে বিশ্ব থেকে আলাদা করা যায় না : শেন হাই সিয়োং Logo চীন-জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা যত দৃঢ় হবে উন্নয়নের ভিত্তি তত দৃঢ় হবে Logo চীন-আসিয়ান উল্লেখযোগ্য ফলাফল অর্জন করেছে : আসিয়ানের মহাসচিব কাও কিম হোর্ন Logo নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটে বাংলা বর্ষবরণ: আলবেনীর উদ্দেশ্যে ছাড়ে যাবে বাস Logo বরুড়ায় ওরাই আপনজনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo সুন্দরবনে ফিশিং ট্রলার গ্রউন্ডিং হয়ে আটকে পড়া সাত জেলেকে উদ্ধার Logo বিজিবি সদস্য বেলালের বাড়ীতে শোকের মাতম Logo ঠাকুরগাঁওয়ে একদিনে ৩ আত্মহত্যা Logo সাজেকে শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন বিজিবি Logo ‘লাখো তরুণের মনের কথা আমি হাবুডুবু গানে তুলে ধরেছি: খায়রুল ওয়াসি

অযত্নে অবহেলায় ফুলবাড়ীর একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটি বন্ধ

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
অযত্নে অবহেলায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটির মুল্যবান বইসহ নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র। লাইব্রেরী কমিটির নিষ্ক্রিতায় ২০১৫ সালে নতুন রুপে উদ্বোধন করার পর থেকে প্রায় আট বছর থেকে বন্ধ রয়েছে লাইব্রেরীটি।

লাইব্রেরীটি ফুলবাড়ী পৌরসভার দক্ষিণ সুজাপুর গ্রামে অবস্থিত। কথিত আছে ১৯১৬ সালে সুরেশ চন্দ্র নামে এক জমিদার ৮ শতক জমি দান করে এবং তার নামেই তথা সুরেশ পাবলিক লাইব্ররী নামে প্রতিষ্টিত করা হয়। বর্তমান সুজাপুর সরকারী মডেল স্কুলটি ছিলো পাবলিক লাইব্রেরির পার্শ্বে। স্কুল থাকায় পাবলিক লাইব্রেরিটিও তখন জাঁকজমকভাবে চলতো। স্বাধীনতার পরে লাইব্রেরীটি পরিত্যক্ত অবস্থায় অনেক বছর পড়ে থাকে। পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে ২০১২ সালে পুনরায় চালু করা হয়।
সে সময় ডাঃ মুশফিকুর রহমান (লিও) চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ডাঃ লিও ও ডাঃ লাবু পদত্যাগ করেন।

পরবর্তীতে প্রদীপ কুমারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করে একটি আহবায়ক কমিটি করা হয়। কিন্তু লাইব্রেরী কমিটির নিষ্ক্রিতায় ২০১৫ সালে নতুন রুপে উদ্বোধন করার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আট বছর বন্ধ রয়েছে লাইব্রেরীটি। সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন কমিটি গঠন করে সবসময় সচল রাখার দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি পাবলিক লাইব্রেরীটিতে সরকারী বরাদ্দ দিয়ে সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরী ও কম্পিউটার ল্যাপটপ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নাম দিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন। সেসময় সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরীর আহবায়ক আলহাজ মোকছেদ আলী শাহ এর সভাপতিত্বে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, সাবেক এমপি মোঃ সোহেব বাবুলসহ আরো অনেকে।

নতুন রুপে উদ্বোধনের পর প্রথম দুই এক বছর প্রশিক্ষণ চললেও আজ পর্যন্ত পাবলিক লাইব্রেরীটি কোন শিক্ষাথী, শিক্ষক অথবা সুধিজন প্রবেশ করতে পারেন নাই। প্রশিক্ষণ এবং লাইব্রেরীটি খোলা না থাকায় প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা কম্পিউটারগুলো চুরি হয়ে যায় বলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জানান। খবর নিয়ে জানা যায়, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই একজন রিস্কা চালককে সেখানে বসবাস করার জন্য ঘর নির্মান করলে স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা দিলে ঘর নির্মাণ বন্ধ রাখেন। বিষয়টি নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কমিটির সিদ্ধান্ত নয় পাবলিক লাইব্রেরীটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নিরাপত্তার কথা ভেবে এক রিক্সাচালককে ঘর করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসীর বাধায় ঘর করা বন্ধ রয়েছে। অশুভ শক্তির হাত থেকে সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরীটি মুক্ত করতে একটি কার্যকর কমিটি গঠন করে পাবলিক লাইব্রেরীটি পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার মাধ্যমে অতিত ঐতিহ্যকে ধারন করে বর্তমান সময়ের পাঠকের মনে নতুন করে জায়গা করে নিবে এমন প্রত্যাশা ফুলবাড়ী উপজেলার বই প্রেমী মানুষের।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের উন্নয়নকে বিশ্ব থেকে আলাদা করা যায় না : শেন হাই সিয়োং

SBN

SBN

অযত্নে অবহেলায় ফুলবাড়ীর একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটি বন্ধ

আপডেট সময় ০২:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
অযত্নে অবহেলায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটির মুল্যবান বইসহ নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র। লাইব্রেরী কমিটির নিষ্ক্রিতায় ২০১৫ সালে নতুন রুপে উদ্বোধন করার পর থেকে প্রায় আট বছর থেকে বন্ধ রয়েছে লাইব্রেরীটি।

লাইব্রেরীটি ফুলবাড়ী পৌরসভার দক্ষিণ সুজাপুর গ্রামে অবস্থিত। কথিত আছে ১৯১৬ সালে সুরেশ চন্দ্র নামে এক জমিদার ৮ শতক জমি দান করে এবং তার নামেই তথা সুরেশ পাবলিক লাইব্ররী নামে প্রতিষ্টিত করা হয়। বর্তমান সুজাপুর সরকারী মডেল স্কুলটি ছিলো পাবলিক লাইব্রেরির পার্শ্বে। স্কুল থাকায় পাবলিক লাইব্রেরিটিও তখন জাঁকজমকভাবে চলতো। স্বাধীনতার পরে লাইব্রেরীটি পরিত্যক্ত অবস্থায় অনেক বছর পড়ে থাকে। পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে ২০১২ সালে পুনরায় চালু করা হয়।
সে সময় ডাঃ মুশফিকুর রহমান (লিও) চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ডাঃ লিও ও ডাঃ লাবু পদত্যাগ করেন।

পরবর্তীতে প্রদীপ কুমারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করে একটি আহবায়ক কমিটি করা হয়। কিন্তু লাইব্রেরী কমিটির নিষ্ক্রিতায় ২০১৫ সালে নতুন রুপে উদ্বোধন করার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আট বছর বন্ধ রয়েছে লাইব্রেরীটি। সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন কমিটি গঠন করে সবসময় সচল রাখার দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি পাবলিক লাইব্রেরীটিতে সরকারী বরাদ্দ দিয়ে সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরী ও কম্পিউটার ল্যাপটপ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নাম দিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন। সেসময় সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরীর আহবায়ক আলহাজ মোকছেদ আলী শাহ এর সভাপতিত্বে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, সাবেক এমপি মোঃ সোহেব বাবুলসহ আরো অনেকে।

নতুন রুপে উদ্বোধনের পর প্রথম দুই এক বছর প্রশিক্ষণ চললেও আজ পর্যন্ত পাবলিক লাইব্রেরীটি কোন শিক্ষাথী, শিক্ষক অথবা সুধিজন প্রবেশ করতে পারেন নাই। প্রশিক্ষণ এবং লাইব্রেরীটি খোলা না থাকায় প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা কম্পিউটারগুলো চুরি হয়ে যায় বলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জানান। খবর নিয়ে জানা যায়, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই একজন রিস্কা চালককে সেখানে বসবাস করার জন্য ঘর নির্মান করলে স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা দিলে ঘর নির্মাণ বন্ধ রাখেন। বিষয়টি নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কমিটির সিদ্ধান্ত নয় পাবলিক লাইব্রেরীটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নিরাপত্তার কথা ভেবে এক রিক্সাচালককে ঘর করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসীর বাধায় ঘর করা বন্ধ রয়েছে। অশুভ শক্তির হাত থেকে সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরীটি মুক্ত করতে একটি কার্যকর কমিটি গঠন করে পাবলিক লাইব্রেরীটি পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার মাধ্যমে অতিত ঐতিহ্যকে ধারন করে বর্তমান সময়ের পাঠকের মনে নতুন করে জায়গা করে নিবে এমন প্রত্যাশা ফুলবাড়ী উপজেলার বই প্রেমী মানুষের।