ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবম এশিয়ান শীতকালীন গেমস চীনা সভ্যতার সৌন্দর্য ও এশিয়ার এগিয়ে যাওয়ার শক্তি Logo ইসলামী ব্যাংক এমডি মনিরুল মাওলা’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ Logo জনগণ চায় নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক : গয়েশ্বর চন্দ্র রায় Logo শিক্ষাগুরু বিশ্বাস আব্দুর রহিম এর ১৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী Logo পহেলা ফাল্গুন, ভালবাসা ও মাতৃভাষা দিবসে ছয় কোটি টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট Logo কালীগঞ্জে দ্রুত নিবার্চনী রোডম্যাপ ঘোষনার দাবিতে বিএনপি’র সমাবেশ Logo শেরপুরে জোড়া খুনের প্রধান আসামী গ্রেফতার Logo বন্ধ হচ্ছে বাল্লা স্থলবন্দর Logo অপারেশন ডেভিল হান্ট: নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় আটক -১৩ Logo কিশোরগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত

আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে এই দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি না-মির্জা ফখরুল

আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে এই দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগন। সুতরাং সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদকে ভেঙ্গে দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সকল দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন করার জন্য নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন নয় ঠাকুরগাঁওয়ে এসে এসব কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৭ মে) শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে কারও পরিবার বা বংশে বিএনপির কেউ থাকলে তাদের চাকুরী হয় না। সরকার সব ক্ষেত্রে আ’লীগ-বিএনপি ভাগ করে বিভাজন সৃষ্টি করছে। এই সরকার গণতন্ত্রের সরকার হতে পারে না। আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই প্রথমবার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নির্বাচন করা যাবে না। বিএনপির সমাবেশগুলিতে শত বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহন করেছে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকার তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন করতে হবে। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। বর্তমানে চলমান আন্দোলনে ১৭ জন নেতা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিলেও এই আন্দোলন দমাতে পারবে না। বর্তমান সরকার বিভিন্ন রকম আইন করেছে, যাতে কেউ কথা বলতে না পারে, সবাই ভয়ে চুপ থাকে সে কারনে ডিজিটাল নিরাপত্তা, তথ্য প্রযুক্তি আইন তৈরী করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। শত শত নেতা কর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। তাদের কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষকে তারা একটা অন্ধকার, অস্থির অবস্থায়, শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে নিয়ে গেছে। সরকারের সমালোচনা করা যাবে না। যখন পৃথিবীর সকল উন্নত দেশ বলছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করতে হবে। তখন আমাদের দেশের আইনমন্ত্রী গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছেন এই আইন বাতিল হবে না। কারণ তিনি জানেন এই সমস্ত আইন বাতিল হলে তারা জনগনের সামনে দাড়াতে পারবে না। এই সরকার খুব পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে মিডিয়া, গণমাধ্যম, প্রশাসন, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলকে দলীয়করণ করে দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। জাতি একটি ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে এই দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না, স্বাধীনতা থাকবে কি থাকবে না, মানুষের অধিকার থাকবে কি থাকবে না, মানুষ ভোট দিতে পারবে কি পারবে না। সমস্ত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সমস্ত মানুষকে নিয়ে ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের সরকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও কর্মী সম্মেলনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ- সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সুলতানুল ফেরদৌস নর্ম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, আনসারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জাফরুল্লাহ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো: শরিফুল ইসলাম শরিফ, মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস প্রমুখ।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবম এশিয়ান শীতকালীন গেমস চীনা সভ্যতার সৌন্দর্য ও এশিয়ার এগিয়ে যাওয়ার শক্তি

SBN

SBN

আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে এই দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি না-মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৫:০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে এই দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগন। সুতরাং সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদকে ভেঙ্গে দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সকল দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন করার জন্য নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন নয় ঠাকুরগাঁওয়ে এসে এসব কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৭ মে) শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে কারও পরিবার বা বংশে বিএনপির কেউ থাকলে তাদের চাকুরী হয় না। সরকার সব ক্ষেত্রে আ’লীগ-বিএনপি ভাগ করে বিভাজন সৃষ্টি করছে। এই সরকার গণতন্ত্রের সরকার হতে পারে না। আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই প্রথমবার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নির্বাচন করা যাবে না। বিএনপির সমাবেশগুলিতে শত বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহন করেছে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকার তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন করতে হবে। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। বর্তমানে চলমান আন্দোলনে ১৭ জন নেতা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিলেও এই আন্দোলন দমাতে পারবে না। বর্তমান সরকার বিভিন্ন রকম আইন করেছে, যাতে কেউ কথা বলতে না পারে, সবাই ভয়ে চুপ থাকে সে কারনে ডিজিটাল নিরাপত্তা, তথ্য প্রযুক্তি আইন তৈরী করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। শত শত নেতা কর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। তাদের কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষকে তারা একটা অন্ধকার, অস্থির অবস্থায়, শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে নিয়ে গেছে। সরকারের সমালোচনা করা যাবে না। যখন পৃথিবীর সকল উন্নত দেশ বলছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করতে হবে। তখন আমাদের দেশের আইনমন্ত্রী গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছেন এই আইন বাতিল হবে না। কারণ তিনি জানেন এই সমস্ত আইন বাতিল হলে তারা জনগনের সামনে দাড়াতে পারবে না। এই সরকার খুব পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে মিডিয়া, গণমাধ্যম, প্রশাসন, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলকে দলীয়করণ করে দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। জাতি একটি ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। আগামী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে এই দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না, স্বাধীনতা থাকবে কি থাকবে না, মানুষের অধিকার থাকবে কি থাকবে না, মানুষ ভোট দিতে পারবে কি পারবে না। সমস্ত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সমস্ত মানুষকে নিয়ে ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের সরকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও কর্মী সম্মেলনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ- সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সুলতানুল ফেরদৌস নর্ম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, আনসারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জাফরুল্লাহ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো: শরিফুল ইসলাম শরিফ, মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস প্রমুখ।