
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সাবেক এমপি ও সমবায়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র আলী হোসনের শুভাকাক্সক্ষী ও অনুসারীরা এই মহান ব্যাক্তিটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং আগামী প্রজন্মের কাছে তাঁর কৃতিত্ব তুলে ধরতে বরুড়ার হোটেল রেড উইংস-এ একটি বিশেষ সভার মাধ্যমে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত সভায় মোঃ নিজামুল হককে আহ্বায়ক, মোঃ ইকবাল হোসেনকে সদস্য সচিব এবং এডভোকেট জোবায়ের হোসনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়।
উক্ত কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য গঠন করা হয়। এ মিটিং এ তিনটি কাজ নির্ধারণ করা হয়। ১) আলী হোসেন স্মৃতি সংসদের স্থায়ী জায়গা ও ভবন নির্ধারন ২) সদস্য সংগ্রহ করা ৩) ছয় মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রদান করা।
নবাগত আহ্বায়ক কমিটি আশা প্রকাশ করে বলেন, সাবেক এমপি মরহুম আলী হোসেনের বৃহত্তর ঝলমের ৫নং চিতড্ডা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম নোয়াব আলী মিয়া, মাতা হালিমা বেগম। তিনি কুমিল্লা ৭ বরুড়া উপজেলার সংসদ সদস্য হিসাবে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় সমবায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। তৎকালীন সময়ে তিনি (আইসিএ) ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এলাইন্স এর সম্মনিত সদস্য পদ লাভ করেন। তিনি পৃথিবীর বহু দেশে আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বহু স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট উন্নয়নে অবদান রাখেন। তিনি একজন সফল সমবায়ী হিসাবে বাংলাদেশে সর্বজন পরিচিত ব্যাক্তিত্ব। সমাজসেবক ও রাজনৈতিবীদ হিসেবে বরুড়ার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আলী হোসেনের মতো সুসংগঠক, সুবক্তা, সুনেতৃত্বের অধিকারী সম্পন্ন ব্যাক্তিত্ব আজও আমাদের চোখে পড়েনি। কিন্তু আলী হোসেনের মতো নেতার আজ বড়ই অভাব। আলী হোসেন ছিলেন বরুড়ার মাটি ও মানুষের নেতা। সর্বজনের সর্বস্তরের মানুষের কাছে অবিসংবাদিত। তিনি বরুড়ার বিএনপির প্রতিষ্ঠাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন কুমিল্লা জেলার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আলী হোসেন ২০০০ সালের ৪ঠা এপ্রিল ইন্তেকাল করেন।