ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১০:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

চায়না মিডিয়া গ্রুপের সিজিটিএন বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, উত্তরদাতারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সমালোচনা করে বলেছেন যে, এই নীতি মধ্যপ্রাচ্যে অন্তহীন বিপর্যয় ডেকে আনছে।

নতুন করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের নীরব সম্মতি ও প্রশ্রয় ইসরায়েলকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র একদিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করতে জাতিসংঘে কয়েকবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। জরিপে ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত শীতল করার আহ্বান জানাচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আগুনে ঘি ঢালার মতো এবং তা পরিস্থিতিকে অনিয়ন্ত্রিত করছে। ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন এবং ৮৪ শতাংশ উত্তরদাতা মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক সংকটকে আরও গুরুতর করার জন্য ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছেন।

এছাড়া, ৮৫ শতাংশ মানুষ উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন এবং ৭৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সামরিক উপায়ে স্থায়ী শান্তি আনা সম্ভব নয়, কেবল রাজনৈতিক পদ্ধতির মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

সূত্র:শিশির-তৌহিদ-শুয়েই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া চান্দিনার মেজবাহ রাকিনকে অভিনন্দন

SBN

SBN

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন

আপডেট সময় ১০:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

চায়না মিডিয়া গ্রুপের সিজিটিএন বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, উত্তরদাতারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সমালোচনা করে বলেছেন যে, এই নীতি মধ্যপ্রাচ্যে অন্তহীন বিপর্যয় ডেকে আনছে।

নতুন করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের নীরব সম্মতি ও প্রশ্রয় ইসরায়েলকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র একদিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করতে জাতিসংঘে কয়েকবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। জরিপে ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত শীতল করার আহ্বান জানাচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আগুনে ঘি ঢালার মতো এবং তা পরিস্থিতিকে অনিয়ন্ত্রিত করছে। ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন এবং ৮৪ শতাংশ উত্তরদাতা মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক সংকটকে আরও গুরুতর করার জন্য ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছেন।

এছাড়া, ৮৫ শতাংশ মানুষ উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন এবং ৭৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সামরিক উপায়ে স্থায়ী শান্তি আনা সম্ভব নয়, কেবল রাজনৈতিক পদ্ধতির মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

সূত্র:শিশির-তৌহিদ-শুয়েই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।