ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার শহরে জোড়া খুন মামলার ২জন হত্যাকারী গ্রেফতার

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ জোড়া খুন মামলার রহস্য উদঘাটন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ০২ জন হত্যাকারী গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা ও লোহার রড উদ্ধার।

মঙ্গলবার (১৭ই জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৮ ঘটিকার সময় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহাফুজুল ইসলাম পিপিএম(বার) বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) অলক বিশ্বাস এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত), ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স), অফিসার ও ফোর্সসহ কক্সবাজার সদর মডেল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জোড়া খুন মামলার রহস্য উদঘাটন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ০২ জন হত্যাকারী গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়।

গত ১৬ই জানুয়ারী রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানাধীন ঝিলংজা ইউপিস্থ পূর্ব লারপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খালি মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে আসামী আতিক(২০), পিতা- আব্দুল খলিল, সাং-পূর্ব লারপাড়া, ঝিলংজা ইউপি, থানা ও জেলা-কক্সবাজার এর সহিত ভিকটিম কায়ছার হামিদ(৩২) ও মফিজুল ইসলাম(৩৩) দ্বয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে আসামী আতিক এর মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং সে সঙ্গীয় আইয়ুব এবং মিজান সহ তার বাড়ীতে তার ভাই ১। জয়নাল আবেদীন (৩২) ও ২। মোঃ কামাল উদ্দিন দ্বয়কে ঘটনার কথা জানালে কামাল উদ্দিন, জয়নাল, আতিক হাতে ছোরা, লোহার রড এবং লাঠি নিয়ে পূর্ব লারপাড়া দেলোয়ারের দোকানের সামনে এসে সাইদুলকে পেয়ে আসামী কামাল এলোপাথাড়ী হাতে, বুকে ও পিটে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাকে বাঁচাতে কায়ছার আগাইয়া আসিলে কায়ছারকেও ছুরিকাঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আসামী জয়নাল এবং আতিক তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ভিকটিমদ্বয়কে মাথায় এবং শরীরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিমদ্বয়ের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে তখন আসামীরা পালিয়ে যায়। ভিকটিমদেরকে তাদের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিম কায়ছার হামিদ ও সাইদুল’কে মৃত ঘোষনা করে। ভিকটিম মফিজ গুরুতর জখম অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পরপরই পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনার ভিত্তিতে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী ১। জয়নাল আবেদীন(৩২), ২। কামাল উদ্দিন(২৮), উভয় পিতা-আব্দুল খলিল, সাং-পূর্ব লারপাড়া, ঝিলংজা ইউপি, থানা ও জেলা-কক্সবাজারদ্বয়কে কামালের খুরুশকুলস্থ শশুর বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ঘর থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামী আতিক’কে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

আপলোডকারীর তথ্য

কক্সবাজার শহরে জোড়া খুন মামলার ২জন হত্যাকারী গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৬:১৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ জোড়া খুন মামলার রহস্য উদঘাটন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ০২ জন হত্যাকারী গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা ও লোহার রড উদ্ধার।

মঙ্গলবার (১৭ই জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৮ ঘটিকার সময় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহাফুজুল ইসলাম পিপিএম(বার) বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) অলক বিশ্বাস এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত), ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স), অফিসার ও ফোর্সসহ কক্সবাজার সদর মডেল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জোড়া খুন মামলার রহস্য উদঘাটন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ০২ জন হত্যাকারী গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়।

গত ১৬ই জানুয়ারী রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানাধীন ঝিলংজা ইউপিস্থ পূর্ব লারপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খালি মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে আসামী আতিক(২০), পিতা- আব্দুল খলিল, সাং-পূর্ব লারপাড়া, ঝিলংজা ইউপি, থানা ও জেলা-কক্সবাজার এর সহিত ভিকটিম কায়ছার হামিদ(৩২) ও মফিজুল ইসলাম(৩৩) দ্বয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে আসামী আতিক এর মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং সে সঙ্গীয় আইয়ুব এবং মিজান সহ তার বাড়ীতে তার ভাই ১। জয়নাল আবেদীন (৩২) ও ২। মোঃ কামাল উদ্দিন দ্বয়কে ঘটনার কথা জানালে কামাল উদ্দিন, জয়নাল, আতিক হাতে ছোরা, লোহার রড এবং লাঠি নিয়ে পূর্ব লারপাড়া দেলোয়ারের দোকানের সামনে এসে সাইদুলকে পেয়ে আসামী কামাল এলোপাথাড়ী হাতে, বুকে ও পিটে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাকে বাঁচাতে কায়ছার আগাইয়া আসিলে কায়ছারকেও ছুরিকাঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আসামী জয়নাল এবং আতিক তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ভিকটিমদ্বয়কে মাথায় এবং শরীরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিমদ্বয়ের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে তখন আসামীরা পালিয়ে যায়। ভিকটিমদেরকে তাদের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিম কায়ছার হামিদ ও সাইদুল’কে মৃত ঘোষনা করে। ভিকটিম মফিজ গুরুতর জখম অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পরপরই পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনার ভিত্তিতে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী ১। জয়নাল আবেদীন(৩২), ২। কামাল উদ্দিন(২৮), উভয় পিতা-আব্দুল খলিল, সাং-পূর্ব লারপাড়া, ঝিলংজা ইউপি, থানা ও জেলা-কক্সবাজারদ্বয়কে কামালের খুরুশকুলস্থ শশুর বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ঘর থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামী আতিক’কে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।