
মো.কাওসার, রাঙ্গামাটি
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই হ্রদকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদের যথাযথ সংরক্ষনের মাধ্যমে নতুন ল্যান্ডিং স্পট গড়ে তুলতে হবে এবং মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও মাছ রপ্তানি করা সম্ভব।তিনি আরো বলেন কাপ্তাই হ্রদেরর সৌন্দর্য উপভোগ করতে যারা এখানে বেড়াতে আসেন তাদেরও দায়-দায়িত্ব আছে এই লেক রক্ষায়। তারা যাতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক, পলিথিন ব্যবহার করে হ্রদে না ফেলে, সেদিকেও তাদের নজর রাখতে হবে। এক সময় কাপ্তাই হ্রদ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সৃষ্টি করা হলেও বর্তমানে হ্রদের ব্যবহার বহুমুখী।
সোমবার ১২ মে( ১০:৩০ মি) সকালে রাঙামাটি বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তাফাজ্জল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ এবং জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে উপদেষ্টা ফরিদা আখতারসহ অতিথিবৃন্দ কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবং মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ২৬ হাজার ৬৫১ জন জেলে পরিবারের মাঝে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।