
মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৮ দিন পর মদিনা আক্তার (২৮) নামের এক প্রতিবন্ধী নারীর মৃত দেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। মঙ্গলবার সদর উপজেলার বিন্নাটি চৌরাস্তা এলাকার একটি ডোবা থেকে ঐ নারীর মৃত দেহটি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন ডোবায় ভাসমান অবস্থায় এক নারীর মরদেহ ভাসমান দেখতে পান। পরে গ্রামের লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পরিচয় শনাক্ত করে জানতে পারে ওই নারীর নাম মদিনা আক্তার। তিনি উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।
২৮ মে রেহেনা আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে চণ্ডীপাশা ইউপি চেয়ারম্যানের ডাকে ৪০ দিনের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির সভায় যায় ওই নারী। সভা শেষে রেহেনাসহ আর কেউ ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে খুঁজে পায়নি। পরে রেহেনা প্রতিবন্ধী নারীর পরিবারকে বিষয়টি জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৩১ মে পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
মদিনা আক্তারের দুলাভাই স্বপন মিয়া বলেন, ‘আমার শ্যালিকা একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী। তারতো কোনো শত্রু থাকার কথা না। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে।
চণ্ডীপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ. শামছু উদ্দিন বলেন, ‘মদিনা আক্তার একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী। সে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে কাজ করত। মদিনার নিখোঁজের সংবাদ যখন পাই তখন তার পরিবারের সদস্যদের মাইকিং করতে বলি এবং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে বলা হয়। আজ শুনলাম তার মরদেহ পাওয়া গেছে। আমি এ বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, ‘সাধারণ ডায়েরির পর থেকেই তাকে আমরা খুঁজতে ছিলাম। এখন তার মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়েছি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।