
এ জে সোহেল, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার হোমনায় আলোচিত ত্রিপল মার্ডরের মুল আসামি আক্তার হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা পুলিশ।
গত (৫ সেপ্টেম্বর ২৪ইং) তারিখ সকাল ৮ঃ০০ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া মাহমুদা ওরফে মাহফুজা (৩০), তার শিশু সন্তান সাহাদাত (৯) ও ফুফাতো ভাসুরের মেয়ে তৃষাকপ (১৫) গলায় ফাঁসের দাগ ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন সহ মৃত অবস্থায় নিজ বাড়িতে পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় মৃত মাহফুজার পিতা মামলা দায়েরের আক্তারের বিষয়টি বারবার ফোকাস হতে থাকলে শুক্রবার ৬ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাও গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর ২৪ইং) কুমিল্লার আদালতে গ্রেফতার যুবক আক্তার ট্রিপল খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের জনৈক শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তারের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল একই উপজেলার শ্রীমদ্দি চরেরগাও গ্রামের আক্তার হোসেনের। একসময় পরকীয়া প্রেমিক আক্তারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা হাওলাত নেয় মাহমুদা। পাওনা টাকা সময়মতো না দেওয়ায় আক্তারের সঙ্গে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হতো মাহমুদার।
গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবে বলে বাড়িতে ডেকে আনে মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন মাহমুদা, আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা। খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে ঝগড়া বাধে মাহমুদা ও আক্তারের মধ্যে। ঝগড়ার একপর্যায়ে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে আক্তার। পরে আক্তার চিন্তা করে তিশা ও সাহাত তো রাতে খাবার খাওয়ার সময় তাকে দেখেছে। তারা যদি খুনের কথা লোকজনকে বলে দেয়, এমন ভীতির আশঙ্কা থেকে তিশা ও সাহাতকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যায় ঘাতক আক্তার।
ঘটনার প্রেক্ষিতে হোমনা থানার মামলা নং ১, তাং ০৫/০৯/২৪ ইং ধারা ৩০২/৩৪ পেনেল কোডে মামলা রজু করা হয়।