শেখ জাহিদ, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্যে অনিহা প্রকাশ করায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের জি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ চন্দ্র কবিরাজের রাজাপুর থানায় করা লিখিত অভিযোগ থেকে জানাযায়, বিদ্যালয়ের পাঁচটি পদে নিয়োগ চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ মার্চ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে ম্যানেজিং কমিটির একটি গ্রুপ নিয়োগ নিয়ে বানিজ্য করায় স্থানীয় মো. জোয়াইব মিয়া নামে এক নিয়োগ প্রত্যাশী আদালতে মামলা দায়ের করলে ৯মাস নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। মামলা নিষ্পত্তি হলে পুনরায় ঐ পাঁচ পদে গত ২৯ নভেম্বর নিয়োগ চেয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ঐ কতিপয় লোক পাঁচ পদে আবারও ২৬ লাখ টাকার একটি বানিজ্য করেন। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক জানতে পেরে বাধা প্রধান করেন এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবী জানায়। এ নিয়ে কমিটির ঐ সদস্যদের সাথে প্রধান শিক্ষকের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঐ বিরোধের জেরে বুধবার সকালে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হেমায়েত হাওলাদার ও রহমান খান স্থানীয় গালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি বাপ্পি মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতা আরিফ মিয়াকে নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এ সময় বিদ্যালয়ের অফিস রুম ঢুকে প্রধান শিক্ষককে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে পাঁচ পদে নিয়োগ দিতে তারিখ নেয়ার জন্য চাপ দেয় তারা। প্রধান শিক্ষক অনিহা প্রকাশ করলে তাকে টেনে হিচরে বের করাসহ লাঞ্চিত করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লাঞ্চিত করেন তারা। তিনি আরো জানায় এর আগেও তারা বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিত।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. রহমান খান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে গত তিন মাস থেকে প্রধান শিক্ষক সময় নষ্ট করছেন। আজ আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাস করছি শিক্ষা অফিসে যাবেন কিনা।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-আমিন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এটা অতি দুঃখজনক ব্যাপার। পরবর্তী মিটিংয়ে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।