
মোঃ শাহারিয়া আহমেদ;
খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ২নং কলোনীর মানোয়ার বেগম (৫৫) নামের এক বিধবা মহিলার ৩৫ বছর যাবত নিজ নামে রেকডীয় ভোগদখল কৃত জায়গা জোর পূর্বক দখল করে নিচ্ছে আমেনা বেগম,স্বামী আবদুল রশিদ নামের প্রভাবশালী ভুমি দুস্যরা।
স্বামী হারা অসহায় বিধবা মনোয়ারা বেগম দখলবাজ আমেনা গংদের ভয়ে ঘর ছাড়া। কোনো ধরনের ভুমি সংক্রান্ত কাগজ পত্র দেখাতে না পারলেও ক্ষমতার জোরে ও এলাকার প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ৫.০০ (পাঁচ) একর কবুলিয়ত জায়গার মধ্যে ২ একর জায়গা দখল করে নিয়েছে ভূমি দস্যু আমেনা গংরা।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার গন্য- মান্য ব্যক্তিদের কে জানালে প্রভাবশালী আমেনা বেগম ও তার স্বামী আব্দুল রশিদের দাপটে বিষয়টি এলাকার মুরব্বিরা এড়িয়ে যান।
অসহায় ভুমির মালিক মনোয়ারা বেগম উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোঃ কাশেম কে জানালে তিনি সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সফিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির ফরাজী ও শুক্কুর কাজী সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিস বৈঠকে বসেন।
সেখানে ভুমি দস্যু আমেনা বেগম গংরা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। ভুমির মালিক মনোয়ারা বেগম ২৯নং ছোট মেরুং মৌজার ৫৯৫ হোল্ডিং এর কাগজ পত্র দেখালে উপস্থিত ব্যক্তিগন মনোয়ারা বেগমের পক্ষে রায় দেন এবং দুই পক্ষকে মিমাংসা করে দেন।
শালিস বৈঠক শেষে আবারও প্রভাবশালী আমেনা বেগম ও তার স্বামী সহ এলাকার কিছু চিহ্নিত ভুমি দস্যুদের সহযোগিতায় আবারও ২.০০ একর জায়গা দখল করে নেন ও ভুমির মালিক মনোয়ার বেগম কে হুমকি ধামকি দেন। বর্তমানে ভুমি দস্যুদের ভয়ে বিধবা মহিলাটি প্রতিবেশি আমিনুলের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়।
এ বিষয়ে স্বামী-সন্তান হীন অসহায় বিধবা মনোয়ারা বেগম এই প্রতিবেদককে জানান স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আলী আহম্মদ, সাবেক বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা কেরামত আলী, সাবেক বিএনপি নেতা বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেরুং স্বর্ন কমল বাড়ির মালিক আব্দুর রশিদ, আশ্রাফ আলী ও হেলাল মেম্বার সহ এলাকার কিছু চিহ্নিত ভুমি দস্যুদের সহযোগিতায় আমেনা বেগম ও তার স্বামী আমার ২.০০ একর জায়গা দখল করে নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছোট মেরুং এর একাধিক ব্যক্তি জানান এক সময়ের বিএনপির নেতারা আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগে যোগদানে করে রাতারাতি টাকার পাহাড় ঘরে তুলেছেন। এসব নব্য হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নেতাদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ঘরে তুলেছে, এদের ভয়ে পুরাতন আওয়ামীলীগের নেতারা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে।
এই ভুমি দস্যুদের বিরুদ্ধে মেরুং চংড়াছড়ি রাস্তার দুই পাসের রাবার বাগানের জায়গাসহ সরকারি খাসজমি দখল ও অসহায় মানুষের জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে।
শালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিক বলেন,মনোয়ারা বেগমের বিষয়টি নিয়ে আমরা শালিসে বসলে কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করে মনোয়ারা বেগম এর কাগজ সঠিক পাই এবং আপোষ মিমাংসা করে দিয়ে আসি,পরে শুনেছি আমারা চলে আসার পর আবারও মনোয়ারা বেগম এর জায়গাটি দখল করে নেয়। আরেক আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির ফরাজি জানান আমরা বিষয়টি নিয়ে শালিস মিমাংসা করে দিয়েছিলাম কিন্তু বিবাদী পক্ষ তা মানেনি।বাদি পক্ষ আমাদের কে বিষয়টি জানায়নি।
ভুমি দস্যু আমেনা বেগম এর বাড়ি গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তারা কেউ গনমাধ্যম কর্মীর সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 

























