
মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার, কুমিল্লা
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী এরশাদ খাঁন (৪০) কে আটক করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ।
ধর্ষণের অভিযোগে আটক এরশাদ খাঁন(৪০) উপজেলার ছোটশালঘর গ্রামের (বেপারি বাড়ির) মৃতঃ আঃ সালাম এর পুত্র। সে পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
রোববার (১৯ মে ২০২৪ খ্রিঃ) দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে আসামীর ২য় স্ত্রীর বোনের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯(১) ধারায় দেবিদ্বার থানার মামলা দায়ের করেন,থানার মামলা নাম্বার- ১৩/১০৪, তারিখ-১৯.০৫.২০২৪ খ্রিঃ।
জানা যায়, গত আট মাস আগে ভিকটিম কিশোরী (১৩) কে তার মা উপজেলার সৈয়দপুর বাজারে কলা বিক্রির জন্য পাঠান। বাজারে এরশাদ খাঁন নামে এক ব্যবসায়ী (ভিক্টিমের প্রতিবেশী) এসে তার পুরো কলা ক্রয় করে নেয়, কলার দাম দিতে তার নিজস্ব ডেকোরেটর দোকানে নিয়ে যায়। দোকানে নিয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে হত্যা করারও হুমকি দেয়। ভিক্টিম কিশোরী ওই ঘটনা মা-বাবাসহ কাউকে জানায়নি। ঘটনার ৭ মাস পর ভিক্টিমের শারিরীক অবস্থার পরিবর্তনে সন্দেহ হলে তাকে গত ২৬ এপ্রিল দেবিদ্বার টাওয়ার হসপিটালে এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান, সে ৭ মাসের গর্ববতী। বিষয়টি নিয়ে ধর্ষক এরশাদের সাথে পারিবারিকভাবে কথা বলায় এরশাদ তাদের বিষয়টি গোপন রাখতে বলে এবং আইন আদালতের আশ্রয় নিলে পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকী দেয়।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ প্রকাশ করলে এটি নিয়ে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে রোববার (১৯ মে) দুপুরে অভিযুক্ত আসামি এরশাদ খাঁনকে তার ২য় স্ত্রীর বোনের বাসা থেকে আটক পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করেন দেবীদ্বার থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ওসি মোঃ নয়ন মিয়া নাগরিক ভাবনাকে জানান, কিশোরী ধর্ষণের অভিযুক্ত একমাত্র আসামী এরশাদ খাঁনকে আটক করে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।