
‘চীনে বিনিয়োগ করা মানে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করা। চীনের উন্নয়নের প্রতি আমাদের অনেক আস্থা রয়েছে।’ গত ৫ই মার্চ (বুধবার) ২০২৫ সালে চীন সরকারের কর্ম প্রতিবেদন দেখার পর, বিশ্বের বিখ্যাত পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম সরবরাহকারী-জার্মানির খাছার কোম্পানির কর্মকর্তা থাং সিও তং সিএমজিকে তাঁর ধারণা জানিয়েছেন। সিএমজি সম্পাদকীয় জানিয়েছে, ‘প্রায় ৫ শতাংশ’ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য বিশ্বকেও আরও নতুন সুযোগ দেবে।
এদিনে, চীনের জাতীয় গণ-কংগ্রেস বা এনপিসি’র বার্ষিক অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং রাষ্ট্রীয় পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারি কর্ম প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। যা বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি নজরকাড়া বিষয় হচ্ছে, চলতি বছর জিডিপি উন্নয়নের লক্ষ্য প্রায় ৫ শতাংশ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রবন্ধে বলা হয় যে, এ লক্ষ্য থেকে দেখা যায়, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, ঝুঁকি প্রতিরোধ করা এবং গণজীবিকা উন্নতির খাতে চীনের দৃঢ়তা রয়েছে।
গেল ২০২৪ সালে চীনের জিডিপি ৫ শতাংশ হয়েছে। যা বিশ্বের প্রধান প্রধান অর্থনীতির সামনে সারিতে রয়েছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি আরও জটিল ও কঠোর হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে, চলতি বছর চীন ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্দিষ্ট করেছে। চীনের সমসাময়িক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইন্সটিটিউটের বিশেষজ্ঞ ওয়েই লিয়াং মনে করে, এতে বোঝা যায়, চীন প্রচেষ্টা চালানোর মনোভাব ও চেতনা ধারণ করে; যাতে চীনের অর্থনীতির ক্ষমতা প্রমাণিত হয়। চীন বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের আস্থা ও শক্তি যুগিয়েছে।
সম্প্রতি, বিশ্বের একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত ২০২৫ সাল অর্থনীতির পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেখা যায়, চীনের ভোগ ও পরিষেবা শিল্পের অনুপাত আরও উন্নত হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। চীনের জার্মান চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তা ইয়াং লি ওয়েন সিএমজিকে জানান, চীনের মত উন্নয়নশীল বড় আকারের বাজার খুবই কম। যা জার্মান কোম্পানিগুলোর জন্য অনেক আকর্ষণীয়। চীনের জার্মান চেম্বার অফ কমার্সের মধ্যে ৯২শতাংশ সদস্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা চীনে থাকবে। অর্ধেকেরও বেশি সদস্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে, তারা দু’বছরের মধ্যে চীনে বিনিয়োগ বাড়াবে।
চীন সবসময় মনে করে, শুধু উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতা বিশ্বের জন্য কল্যাণকর। চীন তাতে অবিচল থেকে আছে। চলতি বছর সরকারি কর্মপ্রতিবেদনে একাধিক উন্মুক্তকরণকে আরও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাতে বিশ্ববাসী চীনের আন্তরিকতা ও দৃঢ়তা দেখেছে।
চীনের জন্য ২০২৫ সাল একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। নানা উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন সহজ কাজ নয়, এজন্য অনেক কঠোর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবে, এ বছরের উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য চীন পূর্ণ আস্থাবান।
সূত্র :আকাশ-তৌহিদ-জিনিয়া, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।