ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অর্জিত সকল সম্পদ আমার স্ত্রীর নামেঃ এডি আওয়াল (পর্ব-১) Logo ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি Logo শেরপুরে নিজাম উদ্দিন আহম্মদ মডেল কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান Logo সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম – শরীফ বাহিনীর ১ সহযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ আটক Logo শাহরাস্তিতে ডাকাতিয়া নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর মৃত উদ্ধার Logo লালমনিরহাটে হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা আছিম উদ্দিনের জমিতে জোর পূর্বক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ Logo বালিয়াডাঙ্গীতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু, আহত ২ Logo করোনা উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু Logo শেরপুরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রীতি বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠিত

ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে মৌখিক পর্যবেক্ষণ এবং স্বাস্থ্য পরামর্শ কর্মসম্পাদন অনুষ্ঠিত

মো:মুনতাসীর মামুন,
স্টাফ রিপোর্টার

আমরা সকলে জানি মুখমণ্ডলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল আমাদের মুখগহ্বর। দাত, মারি, জিহ্বা, চোয়াল ইত্যাদি এর সম্মিলনে আমাদের এই গহ্বর দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলোকে সহজ করে তোলে। মৌখিক স্বাস্থ্যের গম্ভীরতা মাথায় রেখে ব্রাক ইউনিভার্সিটি ন্যাচারাল সাইন্সেস ক্লাব ০৫ অক্টোবর ২০২৩ অনুষ্ঠিত করে “মৌখিক পর্যবেক্ষণ এবং মৌখিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কর্মসম্পাদন”

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ড, নাদিমুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক (ডেন্টাল অ্যান্ড ফেসিওমাক্সিলারি সার্জিক্যাল অনকোলজি অনুষদের প্রধান)। অনুষ্ঠানের প্রথম বিভাগে আয়োজন করা হয় তার বক্তব্য মুখ এবং মৌখিক স্বাস্থ্য বিষয়ে। তিনি তার বক্তব্যতে মৌখিক স্বাস্থ্য, গঠন, এবং বিভিন্ন ধরনের মৌখিক ক্যান্সার সৃষ্টি এবং তরান্বিত করার অন্যতম কারন উল্লেখ করেন। গবেষণায় দেখা যায় ধুমপান, মদপান, তামাক খাওয়া, সুষম খাদ্যের অভাব ইত্যাদি মৌখিক সাস্থের অবনতি ও ক্যান্সারের তৈরি হওয়ার সাধারণ কিছু কারন। বাংলাদেশে উল্লেখিত দিকগুল খুবই প্রচলিত এবং সচরাচর দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশ বর্তমানে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করে মৌখিক ক্যান্সার রোগীর সংখ্যায়। তাছাড়াও, কিছু প্রাকৃতিক কারন, যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসও হতে পারে কান্সারের আবিরভাবের উৎস। তিনি ছাত্র-ছাত্রিদের উদ্দেশে তার চিকিৎসাধীনে থাকা কিছু রোগীর অতিতের অবস্থা ও বর্তমান সাস্থের উন্নতি ব্যাখ্যা করেন। তার বক্তৃতা একটি চমৎকার প্রশ্নোত্তর সেশন দিয়ে শেষ করেন। সকল ছাত্র-ছাত্রীরা আগ্রহ নিয়ে পুরো বক্তব্য শুনেন এবং ভবিষ্যতে এই বিষয়ে গবেষণা ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। উপরন্তু, আমাদের সাথে ছিলেন ড, মাহবুব হোসেন, অধ্যাপক, ব্রাক ইউনিভার্সিটি। তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশে তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু মূল্যবান তথ্য আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় বিভাগে আয়োজন করা হয় মৌখিক পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি, যেখানে ড, নাদিম এবং তার সহযোগী, সকলের জন্য বিনামূল্যে দাত ও মুখের যাচাই ও দরকারি পরামর্ষ দেন। সকলে অনেক উৎসাহের সাথে এই বিভাগে অংশগ্রহণ করেন। তারা যানায় এই পদক্ষেপতি অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাদের জন্য কারন ডেন্টিস্ট ও দন্ত চিকিৎসার খরচ এই জুগে আকাশ ছোঁয়া যা ছাত্র-ছাত্রীদের বা মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের সামর্থ্যের বাইরে।

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি, “দাত থাকতে দাতের মর্যাদা দেওয়া” এই বক্তব্যটি। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ জনগণের মধ্যে দাত, মুখ, ও মৌখিক ক্যান্সার নিয়ে সতর্কতা সৃষ্টি করা। আমরা অনেক চিকিৎসক দেখাই, চোখ, নাক, হৃদরোগ, ইত্যাদি, কিন্তু দাত ও মুখের বেলায় আমাদের যত অবহেলা। আমাদের দেশে শত শত মানুষের মৃত্যু হয় ও তাদের মধ্যে বেশির ভাগই থাকে অসহায় ও চিকিৎসা চক্রের বাইরে। দুইটি কারন এখানে কাজ করে; ১) আমরা উন্নয়নশীল রাষ্ট্র ২) দন্ত ও মৌখিক চিকিৎসার খরচ অন্যান্য চিকিৎসার চেয়ে অনেক বেশি। আমরা এই অনুষ্ঠানটির দ্বারা সচেতনতার বীজ বপন করে, দেশে ক্যান্সারের হার কমিয়ে আনার আশা করছি। চিকিৎসক, জনগণ এবং গবেষকদের হাতে হাত দিয়ে পদক্ষেপ মিলে নিশ্চয়ই এই ক্যান্সারের যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্জিত সকল সম্পদ আমার স্ত্রীর নামেঃ এডি আওয়াল (পর্ব-১)

SBN

SBN

ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে মৌখিক পর্যবেক্ষণ এবং স্বাস্থ্য পরামর্শ কর্মসম্পাদন অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ১২:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

মো:মুনতাসীর মামুন,
স্টাফ রিপোর্টার

আমরা সকলে জানি মুখমণ্ডলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল আমাদের মুখগহ্বর। দাত, মারি, জিহ্বা, চোয়াল ইত্যাদি এর সম্মিলনে আমাদের এই গহ্বর দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলোকে সহজ করে তোলে। মৌখিক স্বাস্থ্যের গম্ভীরতা মাথায় রেখে ব্রাক ইউনিভার্সিটি ন্যাচারাল সাইন্সেস ক্লাব ০৫ অক্টোবর ২০২৩ অনুষ্ঠিত করে “মৌখিক পর্যবেক্ষণ এবং মৌখিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কর্মসম্পাদন”

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ড, নাদিমুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক (ডেন্টাল অ্যান্ড ফেসিওমাক্সিলারি সার্জিক্যাল অনকোলজি অনুষদের প্রধান)। অনুষ্ঠানের প্রথম বিভাগে আয়োজন করা হয় তার বক্তব্য মুখ এবং মৌখিক স্বাস্থ্য বিষয়ে। তিনি তার বক্তব্যতে মৌখিক স্বাস্থ্য, গঠন, এবং বিভিন্ন ধরনের মৌখিক ক্যান্সার সৃষ্টি এবং তরান্বিত করার অন্যতম কারন উল্লেখ করেন। গবেষণায় দেখা যায় ধুমপান, মদপান, তামাক খাওয়া, সুষম খাদ্যের অভাব ইত্যাদি মৌখিক সাস্থের অবনতি ও ক্যান্সারের তৈরি হওয়ার সাধারণ কিছু কারন। বাংলাদেশে উল্লেখিত দিকগুল খুবই প্রচলিত এবং সচরাচর দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশ বর্তমানে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করে মৌখিক ক্যান্সার রোগীর সংখ্যায়। তাছাড়াও, কিছু প্রাকৃতিক কারন, যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসও হতে পারে কান্সারের আবিরভাবের উৎস। তিনি ছাত্র-ছাত্রিদের উদ্দেশে তার চিকিৎসাধীনে থাকা কিছু রোগীর অতিতের অবস্থা ও বর্তমান সাস্থের উন্নতি ব্যাখ্যা করেন। তার বক্তৃতা একটি চমৎকার প্রশ্নোত্তর সেশন দিয়ে শেষ করেন। সকল ছাত্র-ছাত্রীরা আগ্রহ নিয়ে পুরো বক্তব্য শুনেন এবং ভবিষ্যতে এই বিষয়ে গবেষণা ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। উপরন্তু, আমাদের সাথে ছিলেন ড, মাহবুব হোসেন, অধ্যাপক, ব্রাক ইউনিভার্সিটি। তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশে তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু মূল্যবান তথ্য আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় বিভাগে আয়োজন করা হয় মৌখিক পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি, যেখানে ড, নাদিম এবং তার সহযোগী, সকলের জন্য বিনামূল্যে দাত ও মুখের যাচাই ও দরকারি পরামর্ষ দেন। সকলে অনেক উৎসাহের সাথে এই বিভাগে অংশগ্রহণ করেন। তারা যানায় এই পদক্ষেপতি অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাদের জন্য কারন ডেন্টিস্ট ও দন্ত চিকিৎসার খরচ এই জুগে আকাশ ছোঁয়া যা ছাত্র-ছাত্রীদের বা মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের সামর্থ্যের বাইরে।

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি, “দাত থাকতে দাতের মর্যাদা দেওয়া” এই বক্তব্যটি। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ জনগণের মধ্যে দাত, মুখ, ও মৌখিক ক্যান্সার নিয়ে সতর্কতা সৃষ্টি করা। আমরা অনেক চিকিৎসক দেখাই, চোখ, নাক, হৃদরোগ, ইত্যাদি, কিন্তু দাত ও মুখের বেলায় আমাদের যত অবহেলা। আমাদের দেশে শত শত মানুষের মৃত্যু হয় ও তাদের মধ্যে বেশির ভাগই থাকে অসহায় ও চিকিৎসা চক্রের বাইরে। দুইটি কারন এখানে কাজ করে; ১) আমরা উন্নয়নশীল রাষ্ট্র ২) দন্ত ও মৌখিক চিকিৎসার খরচ অন্যান্য চিকিৎসার চেয়ে অনেক বেশি। আমরা এই অনুষ্ঠানটির দ্বারা সচেতনতার বীজ বপন করে, দেশে ক্যান্সারের হার কমিয়ে আনার আশা করছি। চিকিৎসক, জনগণ এবং গবেষকদের হাতে হাত দিয়ে পদক্ষেপ মিলে নিশ্চয়ই এই ক্যান্সারের যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব।