শুক্রবার (৩১ মার্চ) জুমআ’র নামাজ শেষে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার রাশড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের রাস্তা দখল করে প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাসাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরহাদ আলী, সাবেক সদস্য বেল্লাল হোসেন, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, মসজিদের মুয়াজ্জিন আমিনুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবুবকর, স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাঈদ, রিপন মিয়া, পলান মিয়া, কামাল মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, জয়নাল মিয়া।
মানববন্ধনে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া বলেন, দীর্ঘদিনের পুরান এ রাস্তা দিয়ে মসজিদের মুসুল্লিসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ যাতায়াত করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে রাস্তাটি খবির উদ্দিন গংরা দাবি করছে। তারা গত ২৬ মার্চ ভোরে জোর করে মসজিদের রাস্তায় ইটের প্রাচীর নির্মাণ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বাধা দিলে মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান চাই।
বাসাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরহাদ আলী বলেন,মসজিদের মুসুল্লিসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি হয়েছে দীর্ঘদিন আগের। এখন খবির উদ্দিনসহ একটি মহল রাস্তাটি নিজেদের দাবি করে প্রাচীর নির্মাণ করেছে। পরে মুসুল্লিরা প্রাচীরটির কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে। এটাকে কেন্দ্র করে খবির উদ্দিন ও তার লোকজনে মিলে মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে। বিষয়টি নিয়ে থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত খবির উদ্দিন যানান মসজিদ কমিটি ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেছে। তবে দাগ রয়েছে দুইটি। সামনের জমিটি আমার। ওই রাস্তাটি বাদ দিয়ে বাড়ির পাশ দিয়ে নতুন রাস্তা করা হচ্ছে। কিন্তু মসজিদ কমিটি মানছে না। বিষয়টি নিয়ে আদালতে ১৪৪ ধারা জারিও হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য বেল্লাল হোসেন বলেন,২০০৯ সালে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি পুনঃসংস্কার করা হয়। ২০১৭ সালেও একই রাস্তায় মাটি ফেলা হয়। এরআগে থেকেই সেখানে রাস্তাটি ছিল। মসজিদসহ আশপাশের এলাকায় যাওয়ার একমাত্র সড়ক। এখন একটি মহল রাস্তাটি তাদের মানছে না। বিষয়টি নিয়ে আদালতে ১৪৪ ধারা জারিও হয়েছে।
বাসাইল থানার এসআই কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য বসা হবে।