ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক অভিযানে হেরোইন ও ফেন্সিডিল উদ্ধার সহ আটক ৩ Logo হারানো মোবাইল উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ Logo পাবনা-২ আসনে প্রার্থিতা ফেরত পেতে ডলি সায়ন্তনীর আপিল Logo নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গনের অভিযোগে ফেনী-১ আসনের আ.লীগ প্রার্থীকে তলব Logo সুন্দরগঞ্জে বোরো বীজ ও সার বিতরণ Logo গুলশানের নিধি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা Logo সিংড়ায় মেয়রের গাড়ি, ২টি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১১টি যানবাহন আগুনে Logo ২৮ অক্টোবর থেকে সারা দেশে ২৫৩টি স্থানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা Logo কিউবার প্রধানমন্ত্রী সফর চীন-কিউবার মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে

মুম্বাই হামলার ১৪তম বার্ষিকীতে নিহতদের বিবিএসএল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের স্মরণে

আন্তজার্তিক ডেস্কঃ ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ১৪ তম বার্ষিকীর দিনটি পালন করেছে বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক সাইকেল র‌্যালি ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তফছির। সংগঠনের মহাসচিব ও গাজী টিভির প্রযোজক শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এমদাদুল হক ছালেক, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন,বিশিষ্ট সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান , জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন মুন্সী, যুব সংগঠক এম এইস মিল্টন, সোস্যাল এক্টিভিস্ট হাফিজ সম্ভুসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, আপনারা সবাই অবগত যে পাকিস্তান দীর্ঘদিন থেকে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মদদ দিয়ে আসছে। আমরা তাদের এহেন কান্ডের তীব্র নিন্দা জানায় ও বিশ্বের নেতৃবৃন্দের কাছে এর প্রতিকার প্রত্যাশা করি।
সভাপতির বক্তব্যে তৌফিক আহমেদ তফছির বলেন, নিঃস্বার্থ চেতনার বাংলাদেশ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থান ও জিরো টলারেন্স নীতির কারণে দেশে বর্তমানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা গেলে মাদক ও দুর্নীতির হাত থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করা সহজ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বলেন, আজ আমরা আমাদের প্রতিবেশী ভারতীয় বাণিজ্য নগরী মুম্বাইতে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী হামলার শিকারদের প্রতি আমাদের সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সূচনা হয়েছিল জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তানি নুসরা কর্তৃক জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলা, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, গুলশানের হলি আর্টিসানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা এবং ৬৪টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার মতো ধারাবাহিক বর্বর ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, জঙ্গিরা এসব হামলা চালিয়েছে এবং দেশের অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করছি। একই সাথে, আমি তীব্র নিন্দা জানাই পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের যারা আজ আমাদের প্রতিবেশী ভারতের মুম্বাই আক্রমণ করেছে। আইএসআই সহ কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী যেমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করেছে, তেমনি আজ পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা অসংখ্য হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেবর্বর মুম্বাই হামলা সহ ঘটনা।পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সেই হামলায় ১৬০ জন নিরীহ মানুষ পাকিস্তানি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়। হামলার ১৪ তম বার্ষিকীতে, আমরা হতাহতদের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই।
তৌফিক আহমেদ তফছির বলেন, আমরা যেকোনো মূল্যে যত দ্রুত সম্ভব এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূল করতে চাই। আমরা চাই উপমহাদেশ ও বিশ্বের প্রতিটি মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করুক।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন

মুম্বাই হামলার ১৪তম বার্ষিকীতে নিহতদের বিবিএসএল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের স্মরণে

আপডেট সময় ১১:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

আন্তজার্তিক ডেস্কঃ ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ১৪ তম বার্ষিকীর দিনটি পালন করেছে বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক সাইকেল র‌্যালি ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তফছির। সংগঠনের মহাসচিব ও গাজী টিভির প্রযোজক শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এমদাদুল হক ছালেক, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন,বিশিষ্ট সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান , জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন মুন্সী, যুব সংগঠক এম এইস মিল্টন, সোস্যাল এক্টিভিস্ট হাফিজ সম্ভুসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, আপনারা সবাই অবগত যে পাকিস্তান দীর্ঘদিন থেকে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মদদ দিয়ে আসছে। আমরা তাদের এহেন কান্ডের তীব্র নিন্দা জানায় ও বিশ্বের নেতৃবৃন্দের কাছে এর প্রতিকার প্রত্যাশা করি।
সভাপতির বক্তব্যে তৌফিক আহমেদ তফছির বলেন, নিঃস্বার্থ চেতনার বাংলাদেশ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থান ও জিরো টলারেন্স নীতির কারণে দেশে বর্তমানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা গেলে মাদক ও দুর্নীতির হাত থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করা সহজ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বলেন, আজ আমরা আমাদের প্রতিবেশী ভারতীয় বাণিজ্য নগরী মুম্বাইতে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী হামলার শিকারদের প্রতি আমাদের সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সূচনা হয়েছিল জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তানি নুসরা কর্তৃক জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলা, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, গুলশানের হলি আর্টিসানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা এবং ৬৪টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার মতো ধারাবাহিক বর্বর ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, জঙ্গিরা এসব হামলা চালিয়েছে এবং দেশের অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করছি। একই সাথে, আমি তীব্র নিন্দা জানাই পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের যারা আজ আমাদের প্রতিবেশী ভারতের মুম্বাই আক্রমণ করেছে। আইএসআই সহ কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী যেমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করেছে, তেমনি আজ পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা অসংখ্য হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেবর্বর মুম্বাই হামলা সহ ঘটনা।পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সেই হামলায় ১৬০ জন নিরীহ মানুষ পাকিস্তানি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়। হামলার ১৪ তম বার্ষিকীতে, আমরা হতাহতদের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই।
তৌফিক আহমেদ তফছির বলেন, আমরা যেকোনো মূল্যে যত দ্রুত সম্ভব এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূল করতে চাই। আমরা চাই উপমহাদেশ ও বিশ্বের প্রতিটি মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করুক।