
মাহফুজুর রহমান:
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসত বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পাকদেওড়া গ্রামের এই ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারীরা নুরুল ইসলামের ছেলে আজিজুলের বসতঘরে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকারসহ পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাকদেওড়া গ্রামের হারুন মোল্লা ও দ্বীন ইসলাম মোল্লা তার দলবলের সাথে এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের দ্বন্দ চলে আসছে। ৫ই আগস্টের পরে এরা সবাই আত্মগোপনে থাকলে কিছু দিন ধরে আবারো সংগঠিত হয়ে গ্রামে উরসের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু করে। আমরা এসবে বাঁধা দেয়ায় পুনরায় আমাদের সাথে শত্রুতা শুরু করে। এরই জের ধরে ৭ই ডিসেম্বর রাতে আমার কাঠ বাগানের ১৫/২০টি গাছ কেটে ফেলে। গাছ কেটে নেয়ার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার গভীর রাতে হারুন মোল্লা, মামুন মোল্লা, আরিফ মোল্লা, আসাদুলসহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসীদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়িতে হামলা করে। এসময় ঘরের দরজা, জানালা, আলমারি ভাংচুর স্বর্নালংকারসহ নগদ টাকা পয়সা লুটপাট করে নিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
স্থানীয় নাঈম মিয়া বলেন,এই হামলা যারা করেছে তারা সকলেই মাদকের সাথে জড়িত। কিছুদিন আগে আজিজ মাদকের প্রতিবাদ করায় তার বাগানের অনেকগুলো গাছ কেটে ফেলে তারা। পরে আজিজ এই ঘটনার বিচার চেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা হওয়ার পরেও তারা রাতের বেলা আজিজের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। আমরা গ্রামবাসী তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অভিযুক্ত হারুন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। উল্টো তারা আমাকে মারধর করেছে। আমি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
বাঙ্গরা বাজার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।