
মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
চলাচলের একমাত্র সড়কটিতে কয়েকমাস ধরে জলাবদ্ধতার কারনে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সহস্রাধিক এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীরা। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধ সড়ক চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। কখনো অটোরিক্সা উল্টে গিয়ে কখনো হোচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আহতের ঘটনা ঘটছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা পড়ে গিয়ে ভিজে যাচ্ছে স্কুলড্রেস নষ্ট হচ্ছে বই খাতা। অসুস্থ রোগীকে জরুরী হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন হলেও যানবাহন না আসায় সেটা সম্ভব হয় না। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় গ্রামে এসব ভোগান্তির চিত্র প্রতিনিয়ত দেখা গেলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়ক সংলগ্ন সরকারি খাল ও নগরপাড়-শীলমপুর সড়কের সরকারি খাল ২টিতে বিচ্ছিন্নভাবে বাধঁদিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রভাবশালীরা। খাল ভরাটের ফলে এলাকার পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নিস্ক্রিয় হয়ে গেছে। অল্প বৃষ্টি হলেই তৈরী হয় জলাবদ্ধতা। গত কয়েকমাস ধরে ক্রমাগত বৃষ্টিবর্ষনে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে রুপ নিয়েছে জনদূর্ভোগের। জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে নগরপাড়-নবীপুর সড়কের বৃহৎ একটা অংশ। নগরপাড় গ্রামের উত্তরপাড়ার একমাত্র সড়কটির এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুলে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত বই, খাতা ও স্কুলড্রেস নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অটোরিক্সা উল্টেগিয়ে আহত হচ্ছেন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ৫মাস ধরে এই অবস্থার মধ্যে চলাচল করছি। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবী দ্রুত এই জলাবদ্ধতা নিরসন করে আমাদের ভোগান্তি লাঘব করুন।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন বলেন আমি এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসতে গিয়ে পানিতে পড়ে যাই। তখন আমার স্কুল ব্যাগ, ড্রেস, বই-খাতা সব নষ্ট হয়ে গেছে। কাদার গন্ধে আমরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারি না। রাস্তাটা ঠিক করলে আমাদের অনেক ভাল হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের বলেন, পুকুর ভরাট ও খাল গুলো দখল হয়ে যাওয়ার কারনে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। আপনার থেকে জানলাম। উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।