ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালমনিরহাটে পিডিবিএফ কর্মচারীদের ৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ Logo জাতিসংঘের আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখতে হবে : সি Logo চীনা শেনচৌ ২০ নভোযান মহাশূন্যে যাত্রা করবে Logo গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে পড়া ঘর মেরামতে বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান Logo লালমনিরহাটে ‘৩৬ জুলাই’ নামের আইনজীবী সমিতির নতুন জেলা হল রুম উদ্বোধন Logo রাণীনগরে সম্মিলিত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রনয়ন সভা অনুষ্ঠিত Logo অপহৃত শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিককে মোল্লাহাট থেকে উদ্ধার Logo “দ্যা এশিয়ান রেনেসাঁস” বইটি অনূদিত করেছেন কচুয়ার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ Logo চাঁদপুরের কচুয়ার আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী নিশিসহ ৪জন গ্রেফতার Logo বুড়িচংয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

শতাব্দী পর শতাব্দীর আবর্তনে এবারও এলো বাংলা নববর্ষ

মাঈনউদ্দিন মুন্সি

এ এক পরিচয়, এক সংস্কৃতি, এক জাতিসত্তার পুর্নজাগরণের বাংলা নববর্ষ। এই দিনটি একটি দিন নয় শত শত বছরের ধারাবাহিকতা- বৈশাখি মেলাগুলো, হালখাতা, রমনার বটমূর এমনি মঙ্গলে শোভাযাত্রা সবই মিশেমিশে জানিয়ে দেয়, বাঙালি গর্বিত উত্তরাধিকার জনমত বাঙালির নববর্ষ ঐতিহ্যের গর্বিত বৈশাখ কালবৈশাখির ঝড়েও নববর্ষ উৎযাপন উদ্যমে পালিত করে, তা প্রমান এই উৎসব প্রাণের স্পন্দন। বাংলাদেশে বাংলা বর্ষপঞ্জির আধুনিকীকরণ ঘটে ১৯৬৬ সালে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে। ১৯৮৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয় এই সংস্কারকৃত পঞ্জিকা, যাতে ১৪ এপ্রিলই নির্ধারিত হয়।

বাংলা নববর্ষের দিন হিসেবে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে আরও একবার ক্যালেন্ডার সংশোধন করা হয়। এতে বৈশাখ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে ৩১ দিন এবং ফাল্গুন বাদে বাকি মাসগুলোতে ৩০ দিন রাখা হয়। ফাল্গুন মাস অধিবর্ষে ৩০ দিন ধরা হয়। এ সমস্যা সমাধানে ১৫৮৫ সালে আকবর প্রবর্তন করেন ‘তারিখ-এ-এলাহী’ নামক একটি সৌরনির্ভর বর্ষপঞ্জি। এর গণনা শুরু হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর, আকবরের সিংহাসনে আরোহনের দিন থেকে। এই পঞ্জিকার রূপদানে ভূমিকা রাখেন জ্যোতির্বিদ আমীর ফতুল্লাহ সিরাজি।

পরবর্তীতে এই বর্ষপঞ্জি ‘ফসলি সন’ এবং পরে ‘বঙ্গাব্দ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলা মাসের নাম ও দিনপঞ্জির মূল উৎস সংস্কৃত গ্রন্থ সূর্য সিদ্ধান্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আজও এই চান্দ্রসৌর পঞ্জিকা অনুসরণ করে পহেলা বৈশাখ পালিত হয় ১৫ এপ্রিল।বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এর উৎপত্তি কিন্তু বাংলায় নয়, বরং প্রাচীন ভারতে। খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে রাজা বিক্রমাদিত্য প্রবর্তন করেন বিক্রমী পঞ্জিকা। পরবর্তীতে এ পঞ্জিকার প্রভাব পড়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলে, যেখানে নিছক ঋতুভিত্তিক উৎসব হিসেবে পালিত হতো পহেলা বৈশাখ।

কোর্ট রির্পোটার, চাঁদপুর।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাটে পিডিবিএফ কর্মচারীদের ৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ

SBN

SBN

শতাব্দী পর শতাব্দীর আবর্তনে এবারও এলো বাংলা নববর্ষ

আপডেট সময় ১১:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

মাঈনউদ্দিন মুন্সি

এ এক পরিচয়, এক সংস্কৃতি, এক জাতিসত্তার পুর্নজাগরণের বাংলা নববর্ষ। এই দিনটি একটি দিন নয় শত শত বছরের ধারাবাহিকতা- বৈশাখি মেলাগুলো, হালখাতা, রমনার বটমূর এমনি মঙ্গলে শোভাযাত্রা সবই মিশেমিশে জানিয়ে দেয়, বাঙালি গর্বিত উত্তরাধিকার জনমত বাঙালির নববর্ষ ঐতিহ্যের গর্বিত বৈশাখ কালবৈশাখির ঝড়েও নববর্ষ উৎযাপন উদ্যমে পালিত করে, তা প্রমান এই উৎসব প্রাণের স্পন্দন। বাংলাদেশে বাংলা বর্ষপঞ্জির আধুনিকীকরণ ঘটে ১৯৬৬ সালে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে। ১৯৮৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয় এই সংস্কারকৃত পঞ্জিকা, যাতে ১৪ এপ্রিলই নির্ধারিত হয়।

বাংলা নববর্ষের দিন হিসেবে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে আরও একবার ক্যালেন্ডার সংশোধন করা হয়। এতে বৈশাখ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে ৩১ দিন এবং ফাল্গুন বাদে বাকি মাসগুলোতে ৩০ দিন রাখা হয়। ফাল্গুন মাস অধিবর্ষে ৩০ দিন ধরা হয়। এ সমস্যা সমাধানে ১৫৮৫ সালে আকবর প্রবর্তন করেন ‘তারিখ-এ-এলাহী’ নামক একটি সৌরনির্ভর বর্ষপঞ্জি। এর গণনা শুরু হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর, আকবরের সিংহাসনে আরোহনের দিন থেকে। এই পঞ্জিকার রূপদানে ভূমিকা রাখেন জ্যোতির্বিদ আমীর ফতুল্লাহ সিরাজি।

পরবর্তীতে এই বর্ষপঞ্জি ‘ফসলি সন’ এবং পরে ‘বঙ্গাব্দ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলা মাসের নাম ও দিনপঞ্জির মূল উৎস সংস্কৃত গ্রন্থ সূর্য সিদ্ধান্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আজও এই চান্দ্রসৌর পঞ্জিকা অনুসরণ করে পহেলা বৈশাখ পালিত হয় ১৫ এপ্রিল।বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এর উৎপত্তি কিন্তু বাংলায় নয়, বরং প্রাচীন ভারতে। খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে রাজা বিক্রমাদিত্য প্রবর্তন করেন বিক্রমী পঞ্জিকা। পরবর্তীতে এ পঞ্জিকার প্রভাব পড়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলে, যেখানে নিছক ঋতুভিত্তিক উৎসব হিসেবে পালিত হতো পহেলা বৈশাখ।

কোর্ট রির্পোটার, চাঁদপুর।