
মিরাজ পালোয়ান,
শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ে ৭৫ দিন মেয়াদী নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সূষ্টিতে সেলাই, ফ্যাশন ডিজাইনসহ (অতিরিক্ত নকশি কাঁথা তৈরী) সহ পুরুষদের অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। নারীদেরকে ৭৫ দিন ও পুরুষদেরকে ২১ দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে সেলাই মেশিন ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানে ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশিক্ষক মোঃ নাজমুল হকের সঞ্চালনায় শরীয়তপুর জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আনসার বাহিনীর ঢাকা রেঞ্জ কমান্ডার মোঃ রফিকুল ইসলাম পিভিএম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় সর্বত্র কাজ করে। দ্বিতীয়বারের মতো শরীয়তপুরে ৩০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীকে সেলাই, ফ্যাশন ডিজাইন (অতিরিক্ত নকশি কাঁথা তৈরী) প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষণটি যারা পেয়েছে তারা এই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। যারা একেবারেই আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তারা আনসার ও ভিডিপি ব্যাংক থেকে সল্প সুদে নিজেই একজন সফল মানুষ হিসেবে সচ্ছল হতে পারবে। এই প্রশিক্ষণার্থীদের আর সমাজের বোঝা হয়ে থাকতে হবে না। পুরুষদের মধ্যে যারা অস্ত্রসহ আনসার-ভিডিপি ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়েছে তারা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। এছাড়াও সরকারি চাকরিতে শতকরা ১০ ভাগ কোটা সুবিধা পাবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন দর্শন বাস্তবায়নে কাজ করছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এ বাহিনীর সদস্যরা সর্বত্র ভূমিকা রেখে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।
এ সময় উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থী লিমা আক্তার বলেন, শরীয়তপুরে আনসার-ভিডিপির কার্যালয়ে সেলাই ও ফ্যাশন ডিজাইন এবং নকশিকাঁথা প্রশিক্ষণে ৩০ জন নারী অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। এই কাজটি শিখে আমি সাবলম্বী হতে পারবো। আমি সেলাইর কাজ শিখে আমার পরিবার পাশে দাড়াতে পারি তার জন্য আনসার-ভিডিপি থেকে আমাদেরকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দিয়েছে যাতে কাজ করে আয় রোজগার করতে পারি এবং একটি ট্রেনিং শেষে সার্টিফিকেট পেয়েছি। আমি বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আরেক প্রশিক্ষণার্থী রাজিয়া সুলতানা বলেন, কাজটি শেখা শেষ হয়েছে আমি একটি দোকান দেব। নিজে উপার্জন করব। আনসার-ভিডিপিকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে এই সুযোগ প্রদানের জন্য৷ এখানে আমি ৭৫ দিন থেকে ট্রেনিং দিতে পারছি। থাকা ও খাওয়া বিনামূল্যে পেয়েছি৷ ট্রেনিং, গ্রহণ করতেও কোনো টাকা লাগে নাই। আমার মতো অসহায় গরীব নারীকে এমন সুযোগ দেওয়ায় আমি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শরীয়তপুর জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা আনসার বাহিনীর সহকারি কমান্ড্যান্ট মোঃ ফারুক ইসলাম, সার্কেল এ্যাডজুট্যান্ট আব্দুল মান্নান মিয়া, ভেদরগঞ্জ উপজেলার আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা তাহমিনা সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।