
দীপক কুমার দেবনাথ, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে ৬টা অব্দি থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়েছে, সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকালে উপজেলা সদরের অন্নদা স্কুল মোড় থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৩ টার দিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে তারা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড়ের দিকে আসলে সেখানে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে। এ সময় অন্নদার মোড়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করার ঘোষনা দেয়।
সমাবেশ চলাকালে পূর্বদিক থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠি-সোঠা নিয়ে সমাবেশ পালনকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সেখানে দুই ঘন্টাব্যপি থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে তাদের মধ্যে। সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনায় সরাইল সার্কেলের পুলিশ সুপার (এএসপি) রাকিবুল হাসান ও সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামসহ ৬/৭ জন আহত হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে আমিসহ ৭/৮ জন পুলিশ আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে,। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।