ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাঁথিয়ায় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে সবার জন্য পড়া উন্মুক্ত পাঠাগার

এস এম আলমগীর চাঁদ, সাঁথিয়া, (পাবনা) প্রতিনিধি: বই এমন একটা উপকরণ যা একজন মানুষ কে সহজেই আলোকিত করে তুলতে পারে।শিক্ষার আলো, নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ, ইতিহাস, সাহিত্য, কৃষ্টি -সভ্যতা, সাহিত্য -সংস্কৃতি সহ সবকিছু রয়েছে বইয়ের ভেতরে। এক মাত্র বইয়ের মাঝেই আছে সব ধরনের জ্ঞান। তাই জীবনের জন্য বই পড়া প্রয়োজন।

পড়িলে বই, আলোকিত হই,
না পড়িলে বই, অন্ধকারে রই।
এই মহান স্লোগান কে ধারন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “সবার জন্য পড়া উন্মুক্ত পাঠাগার”। পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউরি গ্রামে প্রায় তিন বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠাতা এই গ্রামের বাসিন্দা সোবহান খানের ছেলে শাহাদাত হোসেন। করোনা মহামারীর সময়ে অর্ধ শিক্ষিত এই ব্যাক্তি অনুভব করেন, ভার্চুয়াল আসক্তি যুব সমাজের মনন কে যেমন কেড়ে নিচ্ছে তেমনি তাদের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন ও পরিবার পরিজনের সাথে তৈরি করছে দুরত্ব। যুব সমাজের ভার্চুয়াল আশক্তির আত্নকেন্দ্রীকতার অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে আলোর রশ্মি ছড়াতে তিনি এই লাইব্রেরি তৈরীর মহান উদ্যোগ গ্রহন করেন।
ইতিমধ্যেই তার এ উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ছোট একটি ঘরে প্রায় পাঁচশত টি বই নিয়ে তিনি এইদিকে লাইব্রেরি শুরু করেছিলেন ।বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাচ হাজারে ।প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি চলে ছোট বড়ো, যুবক বৃদ্ধ সকল বয়সী মানুষের বই পড়া। এ পাঠাগারে নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই ইতিহাস, বিজ্ঞান বিষয়ক, বিখ্যাত মনীষী দের জীবনী সহ বিভিন্ন ইসলামী বই ও শোভা পাচ্ছে।
শিশুরা এখন পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি লাইব্রেরি তে বসে বিভিন্ন বই পড়ে জ্ঞানের আলোকে সমৃদ্ধ করছে।
প্রতিষ্ঠাতা শাহাদাত হোসেন বলেন,
পাঠাগার টি জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করছে। “সবার জন্য পড়া উন্মুক্ত পাঠাগার “এক দিন বৃত্তে পরিনত হবে এবং আলো ছড়াতে সারাদেশে। পাঠাগার টির উন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাঁথিয়ায় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে সবার জন্য পড়া উন্মুক্ত পাঠাগার

আপডেট সময় ১০:০৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

এস এম আলমগীর চাঁদ, সাঁথিয়া, (পাবনা) প্রতিনিধি: বই এমন একটা উপকরণ যা একজন মানুষ কে সহজেই আলোকিত করে তুলতে পারে।শিক্ষার আলো, নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ, ইতিহাস, সাহিত্য, কৃষ্টি -সভ্যতা, সাহিত্য -সংস্কৃতি সহ সবকিছু রয়েছে বইয়ের ভেতরে। এক মাত্র বইয়ের মাঝেই আছে সব ধরনের জ্ঞান। তাই জীবনের জন্য বই পড়া প্রয়োজন।

পড়িলে বই, আলোকিত হই,
না পড়িলে বই, অন্ধকারে রই।
এই মহান স্লোগান কে ধারন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “সবার জন্য পড়া উন্মুক্ত পাঠাগার”। পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউরি গ্রামে প্রায় তিন বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠাতা এই গ্রামের বাসিন্দা সোবহান খানের ছেলে শাহাদাত হোসেন। করোনা মহামারীর সময়ে অর্ধ শিক্ষিত এই ব্যাক্তি অনুভব করেন, ভার্চুয়াল আসক্তি যুব সমাজের মনন কে যেমন কেড়ে নিচ্ছে তেমনি তাদের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন ও পরিবার পরিজনের সাথে তৈরি করছে দুরত্ব। যুব সমাজের ভার্চুয়াল আশক্তির আত্নকেন্দ্রীকতার অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে আলোর রশ্মি ছড়াতে তিনি এই লাইব্রেরি তৈরীর মহান উদ্যোগ গ্রহন করেন।
ইতিমধ্যেই তার এ উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ছোট একটি ঘরে প্রায় পাঁচশত টি বই নিয়ে তিনি এইদিকে লাইব্রেরি শুরু করেছিলেন ।বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাচ হাজারে ।প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি চলে ছোট বড়ো, যুবক বৃদ্ধ সকল বয়সী মানুষের বই পড়া। এ পাঠাগারে নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই ইতিহাস, বিজ্ঞান বিষয়ক, বিখ্যাত মনীষী দের জীবনী সহ বিভিন্ন ইসলামী বই ও শোভা পাচ্ছে।
শিশুরা এখন পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি লাইব্রেরি তে বসে বিভিন্ন বই পড়ে জ্ঞানের আলোকে সমৃদ্ধ করছে।
প্রতিষ্ঠাতা শাহাদাত হোসেন বলেন,
পাঠাগার টি জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করছে। “সবার জন্য পড়া উন্মুক্ত পাঠাগার “এক দিন বৃত্তে পরিনত হবে এবং আলো ছড়াতে সারাদেশে। পাঠাগার টির উন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।