ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাঁথিয়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ও পুনর্বাসন সোসাইটির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী Logo রূপগঞ্জে অটো রিক্সা চালকের লাশ উদ্ধার Logo গোমস্তাপুরে মহানন্দা নদীতে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার Logo নিকলীতে হাওরে স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার Logo রাঙ্গামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সভা Logo কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ০২ মহিলা ছিনতাইকারী আটক Logo ঈদ ই মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লার আলোচনা সভা Logo গোমস্তাপুরে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত Logo ইকো রিসোর্টে হামলার ঘটনায় রহস্যজনক কারনে মামলা নেয়নি জয়দেবপুর থানা

সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে জেলেদের মানববন্ধন

টেকনাফ প্রতিনিধি: সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে জেলেরা মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার সেন্টমার্টিন বাজারের এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইলিশের ভরা মৌসুমে সাগরে ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ করায় উপকূলীয় এলাকা কক্সবাজার সেন্টমার্টিন জেলেরা না খেয়ে দিন পার করছেন। অনেকে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে না দিতে পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ইলিশের ভরা মৌসুমে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছেন জেলেসহ বিপণন পেশায় নিয়োজিত উপকূলের সেন্টমার্টিনের জেলেরা মাছের ওপর নির্ভর করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা। সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১০ হাজার মানুষের আয়ের উৎস ২টি, টুরিজম ব্যবস্যা আর সাগরে মাছ ধরা বর্তমানে টুরিজম ব্যবস্যা একদম বন্ধ অন্য দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিনের মানুষ এমতবস্থায় সাগের ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ করে দিলে না খেয়ে মরবে সেন্টমার্টিনের মানুষ। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়ে এক মানববন্ধন করেছেন সেন্টমার্টিন জেলেরা।
এ সময় জেলেরা জানান, সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ করায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন কি অনেক জেলেরা না খেয়েও আছে। অধিকাংশ জেলে পরিবারই ধারদেনা করে চলছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সাধারণ জেলেদের আয়ের পথ না থাকায় তারা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করেছন সংশ্লিষ্টরা।
এ নিষেধাজ্ঞায় ট্রলার মালিকরাও জেলেদের দাদন দিয়ে পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। ট্রলার মালিক বেলাল জানান, ট্রলার ও জাল মেরামত এবং জেলেদের আগাম টাকা দিয়ে তারা এখন সাগরে মাছ ধরতে পারছেন না। নিষেধাজ্ঞার কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
সেন্টমার্টিনের এক জেলে জানান, অনেক দিন মাছ ধরতে না পারায় তাদের একমাত্র আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন, পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন। এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে না পরলে এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে।
সেন্টমার্টিন ফিশিং বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম জানান, তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে উপকূলে ফিরেছেন। সাগরে যেতে না পারায় চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেরা। এসময় জেলেরা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পেটে ভাত দিন না হয় সাগরে মাছ ধরা উম্মুক্ত করে দিন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাঁথিয়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ও পুনর্বাসন সোসাইটির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে জেলেদের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০১:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

টেকনাফ প্রতিনিধি: সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে জেলেরা মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার সেন্টমার্টিন বাজারের এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইলিশের ভরা মৌসুমে সাগরে ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ করায় উপকূলীয় এলাকা কক্সবাজার সেন্টমার্টিন জেলেরা না খেয়ে দিন পার করছেন। অনেকে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে না দিতে পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ইলিশের ভরা মৌসুমে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছেন জেলেসহ বিপণন পেশায় নিয়োজিত উপকূলের সেন্টমার্টিনের জেলেরা মাছের ওপর নির্ভর করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা। সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১০ হাজার মানুষের আয়ের উৎস ২টি, টুরিজম ব্যবস্যা আর সাগরে মাছ ধরা বর্তমানে টুরিজম ব্যবস্যা একদম বন্ধ অন্য দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিনের মানুষ এমতবস্থায় সাগের ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ করে দিলে না খেয়ে মরবে সেন্টমার্টিনের মানুষ। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়ে এক মানববন্ধন করেছেন সেন্টমার্টিন জেলেরা।
এ সময় জেলেরা জানান, সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ করায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন কি অনেক জেলেরা না খেয়েও আছে। অধিকাংশ জেলে পরিবারই ধারদেনা করে চলছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সাধারণ জেলেদের আয়ের পথ না থাকায় তারা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করেছন সংশ্লিষ্টরা।
এ নিষেধাজ্ঞায় ট্রলার মালিকরাও জেলেদের দাদন দিয়ে পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। ট্রলার মালিক বেলাল জানান, ট্রলার ও জাল মেরামত এবং জেলেদের আগাম টাকা দিয়ে তারা এখন সাগরে মাছ ধরতে পারছেন না। নিষেধাজ্ঞার কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
সেন্টমার্টিনের এক জেলে জানান, অনেক দিন মাছ ধরতে না পারায় তাদের একমাত্র আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন, পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন। এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে না পরলে এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে।
সেন্টমার্টিন ফিশিং বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম জানান, তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে উপকূলে ফিরেছেন। সাগরে যেতে না পারায় চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেরা। এসময় জেলেরা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পেটে ভাত দিন না হয় সাগরে মাছ ধরা উম্মুক্ত করে দিন।