ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীন শ্রীলঙ্কাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে আসছে:গুণবর্ধন

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০২:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

চীনের উত্থাপিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’(বিআরআই) থেকে শ্রীলঙ্কা যথেষ্ট উপকৃত হয়েছে। সম্প্রতি লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধন চীন সফরকালে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে বৈঠকশেষে, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে নিজের মতামতও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সি চিন পিং-এর সঙ্গে বৈঠকে, উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে মতবিনিময় করেছে

শ্রীলঙ্কার জন্য এটি খুবই ইতিবাচক এবং সফল সফর ছিল। শ্রীলঙ্কা এবং চীন ৬০ বছরেরও বেশি সময় আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং দুই দেশ সব দিক থেকেই একে অপরের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
গুণবর্ধন বলেন, চীন শ্রীলঙ্কাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে আসছে। বর্তমানে বিশ্ব নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এবং আধুনিকীকরণ দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা তার উৎপাদন ও সেবা শিল্পের আধুনিকীকরণ সম্পূর্ণ করা এবং দ্রুত উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। প্রেসিডেন্ট সি’র সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে তার আলোচনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধন বলেন, এখন চীন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ৭০ বছর আগে চীন ও শ্রীলংকা রাবার-চাল চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, যা ছিল শ্রীলংকার স্বাধীনতা পর স্বাক্ষরিত প্রথম দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। সে চুক্তি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। শ্রীলংকা তখন চাল চায়, আর চীনের রাবার প্রয়োজন। এই চুক্তির মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়।

গুণবর্ধন বলেন, সেই চুক্তির চেতনার আলোকেই, শ্রীলংকা ‘বেল্ড অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায়ই কলম্বো বন্দর সিটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এটি শ্রীলঙ্কায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় একক বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রকল্প। পরবর্তী ২৫ বছরের মধ্যে, একে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন শিল্প শহর এবং আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী ইঞ্জিনে পরিণত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

কিছু পশ্চিমা মিডিয়া প্রচার করছে যে শ্রীলঙ্কা একটি তথাকথিত “ঋণের ফাঁদে” পড়ে যেতে পারে। এই সম্বন্ধে গুণবর্ধন বলেন, “এটা ঠিক নয়। শ্রীলঙ্কা সর্বদা চীনকে সম্মান ও বিশ্বাস করে এবং চীনের সাথে অভিন্ন উন্নয়ন কামনা করে। চীনের সমর্থন ও সহায়তা শ্রীলঙ্কার উন্নয়ন-প্রক্রিয়ায় গতি সঞ্চার করেছে। যখন শ্রীলঙ্কার অখণ্ডতা হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল এবং দেশটি ভেঙে পড়তে চলেছিল, তখন চীন দৃঢ়ভাবে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন করে; সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশটির পাশে দাঁড়ায়। শ্রীলঙ্কা তাই চীনের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। সূত্র:শুয়েই-আলিম-আকাশ,চায়না মডিয়া গ্রুপ।

চীন শ্রীলঙ্কাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে আসছে:গুণবর্ধন

আপডেট সময় ০২:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চীনের উত্থাপিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’(বিআরআই) থেকে শ্রীলঙ্কা যথেষ্ট উপকৃত হয়েছে। সম্প্রতি লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধন চীন সফরকালে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে বৈঠকশেষে, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে নিজের মতামতও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সি চিন পিং-এর সঙ্গে বৈঠকে, উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে মতবিনিময় করেছে

শ্রীলঙ্কার জন্য এটি খুবই ইতিবাচক এবং সফল সফর ছিল। শ্রীলঙ্কা এবং চীন ৬০ বছরেরও বেশি সময় আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং দুই দেশ সব দিক থেকেই একে অপরের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
গুণবর্ধন বলেন, চীন শ্রীলঙ্কাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে আসছে। বর্তমানে বিশ্ব নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এবং আধুনিকীকরণ দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা তার উৎপাদন ও সেবা শিল্পের আধুনিকীকরণ সম্পূর্ণ করা এবং দ্রুত উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। প্রেসিডেন্ট সি’র সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে তার আলোচনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধন বলেন, এখন চীন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ৭০ বছর আগে চীন ও শ্রীলংকা রাবার-চাল চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, যা ছিল শ্রীলংকার স্বাধীনতা পর স্বাক্ষরিত প্রথম দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। সে চুক্তি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। শ্রীলংকা তখন চাল চায়, আর চীনের রাবার প্রয়োজন। এই চুক্তির মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়।

গুণবর্ধন বলেন, সেই চুক্তির চেতনার আলোকেই, শ্রীলংকা ‘বেল্ড অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায়ই কলম্বো বন্দর সিটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এটি শ্রীলঙ্কায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় একক বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রকল্প। পরবর্তী ২৫ বছরের মধ্যে, একে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন শিল্প শহর এবং আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী ইঞ্জিনে পরিণত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

কিছু পশ্চিমা মিডিয়া প্রচার করছে যে শ্রীলঙ্কা একটি তথাকথিত “ঋণের ফাঁদে” পড়ে যেতে পারে। এই সম্বন্ধে গুণবর্ধন বলেন, “এটা ঠিক নয়। শ্রীলঙ্কা সর্বদা চীনকে সম্মান ও বিশ্বাস করে এবং চীনের সাথে অভিন্ন উন্নয়ন কামনা করে। চীনের সমর্থন ও সহায়তা শ্রীলঙ্কার উন্নয়ন-প্রক্রিয়ায় গতি সঞ্চার করেছে। যখন শ্রীলঙ্কার অখণ্ডতা হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল এবং দেশটি ভেঙে পড়তে চলেছিল, তখন চীন দৃঢ়ভাবে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন করে; সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশটির পাশে দাঁড়ায়। শ্রীলঙ্কা তাই চীনের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। সূত্র:শুয়েই-আলিম-আকাশ,চায়না মডিয়া গ্রুপ।