ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতি করেই শত কোটি টাকার মালিক ভূমি খেকো শাহাদাত

জাতীয় গৃহায়ন সেগুন বাগিচা অফিসের পিয়ন থেকে শত কোটি টাকার মালিক শাহাদাত। গৃহায়নের পিয়নের চাকরিতে ঢুকেই তিনি পেয়ে যান সোনার হরিণ, পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আর এখন তিনি শত কোটি টাকার মালিক, চলেন ভিআইপি গাড়ীতে, থাকেন আলীশান বাড়িতে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ।

তিনি বর্তমান বসবাস করেন পল্লবী-১২, ব্লক-ই,রোড-৫,বাসা-৪০/২ এর আলিশান বাড়িতে । যেখানে তিনি বাড়িটা করেছেন সেখানে আগে ছিল খেলার মাঠ । বর্তমান সেখানে সাড়ে ৯তলা একটি বাড়ী নির্মাণ করেন। সেই বাড়ীটিতে ২৭ টি ফ্লাট রয়েছে। বাড়ীতে অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা সরকারী ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে বছরের পর বছর গ্যাস জ্বালিয়ে আসছেন গ্যাস খেকো দূর্নীতিবাজ শাহাদাত। এই অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে প্রতি ফ্লাটে জ্বালাছিল। এই সংবাদ মিরপুরস্হ গ্যাস সাপ্লাই অফিসের কর্মকর্তারা জানতে পারেন। গত তিন মাস আগে ওই অফিসের কর্মকর্তারা ম্যাজিস্টেটকে নিয়ে ওই বাড়ীতে গিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। এবং বাড়ীর মালিক শাহাদাতকে ২ লাখ টাকা জরিমানাও করেন। তার পর কিছু দিন যেতে না যেতেই রাতের আধাঁরে দূর্নীতিবাজ শাহাদাত আবারো অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ করে। পরে আবার ওই কর্মকর্তারা অভিযোগ পেয়ে আবারও অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ বিছিন্ন করেন। এবং বাড়ীর মালিক শাহাদাতকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তার দূর্নীতি লেখে শেষ করার যাবে না । একের পর এক দূর্নীতি করে যাচ্ছে। অভিযোগে আরও জানা গেছে, গত ২০০৪ সালে তার অফিসে বিভিন্ন ধরনের দূর্নীতি করার কারনে শাহাদাত চাকরিচুৎ হন। এবং তার বিরুদ্ধে দুদুকে একটি দূর্নীতি একটি মামলা হয়। সেই মামলায় এখনো হাজিরা দিতে হচ্ছে তাকে।

স্থানীয় অনেক বাসিন্দা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, শাহাদাতকে আমরা দেখেছি একটি অফিসের পিয়নের চাকরি করতে, রাতারাতি তিনি কিভাবে আঙ্গুল ফুলে শতকোটি টাকার মালিক হলেন কি ভাবে? হঠাৎ করে বাড়ী, গাড়ী, দোকানপাট দেখে সেটি আমাদেরকেও ভাবায়। জাতীয় গৃহায়ন অফিসে হাউজিং শাখায় পিয়ন হিসেবে চাকরি করার সুবাদে ১২ নম্বর পল্লবীর প্রতিটি বাড়ী ও প্লটের সমস্যা গুলো তিনি জানতেন। যে সব বাড়ি বা প্লটের সমস্যা ছিল সে গুলো তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নিজ নামে করে নিতেন। এভাবে তিনি একে একে গড়ে তুলেছেন ১০ থেকে ১১ টি আলিশান বাড়ি, শুধু নিজের নামেই বাড়ি করে থেমে থাকেননি,তারই আপন ছোট ভাই বশির উদ্দিনকে মিরপুর ১২,ব্লক-ডি,রোড-৯,বাসা-৩৯/১ জায়গাটিও জাতীয় পার্টি একজন নেতার দখলে ছিল।
তাকে উচ্ছেদ করেই ছোট ভাইকে বসবাস করতে দিয়েছেন। এখনো বৃহতর মিরপুরে হাউজিংয়ের জায়গায় একটু ভেজাল হলেই শাহাদাত তদবীর করে অর্থের বিনিময়ে বেচাকেনা করে। এলাকার বাসিরা আরও অভিযোগ করে বলেন। এই শাহাদাত মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় পূর্ণবাসন ও খেলার মাঠ দখল করে নিয়েছে।
স্হানীয় নেতাদের মোটা অংকের অর্থ বিনিময়ে শাহাদাত এ সব দূর্নীতি করে যাচ্ছে। তার ভয়ে সাধারণ মানুষ কনো প্রতিবাদ করতে পাচ্ছে না। তার বাড়ীটি ছিল খেলার মাঠ দখল করে গড়ে তুলেছেন সাড়ে নয় তলা।

বিস্তারিত আসছে…

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতি করেই শত কোটি টাকার মালিক ভূমি খেকো শাহাদাত

আপডেট সময় ১২:৪৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

জাতীয় গৃহায়ন সেগুন বাগিচা অফিসের পিয়ন থেকে শত কোটি টাকার মালিক শাহাদাত। গৃহায়নের পিয়নের চাকরিতে ঢুকেই তিনি পেয়ে যান সোনার হরিণ, পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আর এখন তিনি শত কোটি টাকার মালিক, চলেন ভিআইপি গাড়ীতে, থাকেন আলীশান বাড়িতে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ।

তিনি বর্তমান বসবাস করেন পল্লবী-১২, ব্লক-ই,রোড-৫,বাসা-৪০/২ এর আলিশান বাড়িতে । যেখানে তিনি বাড়িটা করেছেন সেখানে আগে ছিল খেলার মাঠ । বর্তমান সেখানে সাড়ে ৯তলা একটি বাড়ী নির্মাণ করেন। সেই বাড়ীটিতে ২৭ টি ফ্লাট রয়েছে। বাড়ীতে অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা সরকারী ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে বছরের পর বছর গ্যাস জ্বালিয়ে আসছেন গ্যাস খেকো দূর্নীতিবাজ শাহাদাত। এই অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে প্রতি ফ্লাটে জ্বালাছিল। এই সংবাদ মিরপুরস্হ গ্যাস সাপ্লাই অফিসের কর্মকর্তারা জানতে পারেন। গত তিন মাস আগে ওই অফিসের কর্মকর্তারা ম্যাজিস্টেটকে নিয়ে ওই বাড়ীতে গিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। এবং বাড়ীর মালিক শাহাদাতকে ২ লাখ টাকা জরিমানাও করেন। তার পর কিছু দিন যেতে না যেতেই রাতের আধাঁরে দূর্নীতিবাজ শাহাদাত আবারো অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ করে। পরে আবার ওই কর্মকর্তারা অভিযোগ পেয়ে আবারও অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ বিছিন্ন করেন। এবং বাড়ীর মালিক শাহাদাতকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তার দূর্নীতি লেখে শেষ করার যাবে না । একের পর এক দূর্নীতি করে যাচ্ছে। অভিযোগে আরও জানা গেছে, গত ২০০৪ সালে তার অফিসে বিভিন্ন ধরনের দূর্নীতি করার কারনে শাহাদাত চাকরিচুৎ হন। এবং তার বিরুদ্ধে দুদুকে একটি দূর্নীতি একটি মামলা হয়। সেই মামলায় এখনো হাজিরা দিতে হচ্ছে তাকে।

স্থানীয় অনেক বাসিন্দা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, শাহাদাতকে আমরা দেখেছি একটি অফিসের পিয়নের চাকরি করতে, রাতারাতি তিনি কিভাবে আঙ্গুল ফুলে শতকোটি টাকার মালিক হলেন কি ভাবে? হঠাৎ করে বাড়ী, গাড়ী, দোকানপাট দেখে সেটি আমাদেরকেও ভাবায়। জাতীয় গৃহায়ন অফিসে হাউজিং শাখায় পিয়ন হিসেবে চাকরি করার সুবাদে ১২ নম্বর পল্লবীর প্রতিটি বাড়ী ও প্লটের সমস্যা গুলো তিনি জানতেন। যে সব বাড়ি বা প্লটের সমস্যা ছিল সে গুলো তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নিজ নামে করে নিতেন। এভাবে তিনি একে একে গড়ে তুলেছেন ১০ থেকে ১১ টি আলিশান বাড়ি, শুধু নিজের নামেই বাড়ি করে থেমে থাকেননি,তারই আপন ছোট ভাই বশির উদ্দিনকে মিরপুর ১২,ব্লক-ডি,রোড-৯,বাসা-৩৯/১ জায়গাটিও জাতীয় পার্টি একজন নেতার দখলে ছিল।
তাকে উচ্ছেদ করেই ছোট ভাইকে বসবাস করতে দিয়েছেন। এখনো বৃহতর মিরপুরে হাউজিংয়ের জায়গায় একটু ভেজাল হলেই শাহাদাত তদবীর করে অর্থের বিনিময়ে বেচাকেনা করে। এলাকার বাসিরা আরও অভিযোগ করে বলেন। এই শাহাদাত মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় পূর্ণবাসন ও খেলার মাঠ দখল করে নিয়েছে।
স্হানীয় নেতাদের মোটা অংকের অর্থ বিনিময়ে শাহাদাত এ সব দূর্নীতি করে যাচ্ছে। তার ভয়ে সাধারণ মানুষ কনো প্রতিবাদ করতে পাচ্ছে না। তার বাড়ীটি ছিল খেলার মাঠ দখল করে গড়ে তুলেছেন সাড়ে নয় তলা।

বিস্তারিত আসছে…