ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাসিরনগরে সেপটি ট্যাংকি থেকে ৩ মরদেহ উদ্ধার

দীপক কুমার দেবনাথ, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামের আহাদ মিয়ার নির্মানাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৪এপ্রিল) সকাল থেকেই উদ্ধারের কাজ চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরস।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুটমা এলাকায় আহাদ মিয়ার একটি ভবনে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন তারা। রোববার সকালে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকির কাঠের মাচা খুলতে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা তিনজন।

পরে তাদের কোন সারা শব্দ বা নড়াচড়া না পেয়ে বিষয়টি অন্যদের জানালে সেখানে লোকজন ভীড় জমাতে থাকেন। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশ কে জানানো হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্যাংকিতে মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হন। ট্যাংকির মুখ ছোট হওয়ায় মরদেহ উত্তোলন করতে বেগ পেতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহ ট্যাংকি থেকে উত্তোলনের জন্য পাশে দেয়াল ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। একে একে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

উদ্ধারকৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নজব আলী’র ছেলে চুন্নু মিয়া, ফজলুল হক’র ছেলে আলম মিয়া, আতিক মিয়া’র ছেলে সম্রাট মিয়া। তারা সবাই একই এলাকার বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে নাসিরনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে গ্যাসের কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

নাসিরনগরে সেপটি ট্যাংকি থেকে ৩ মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৬:৪২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

দীপক কুমার দেবনাথ, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামের আহাদ মিয়ার নির্মানাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৪এপ্রিল) সকাল থেকেই উদ্ধারের কাজ চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরস।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুটমা এলাকায় আহাদ মিয়ার একটি ভবনে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন তারা। রোববার সকালে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকির কাঠের মাচা খুলতে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা তিনজন।

পরে তাদের কোন সারা শব্দ বা নড়াচড়া না পেয়ে বিষয়টি অন্যদের জানালে সেখানে লোকজন ভীড় জমাতে থাকেন। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশ কে জানানো হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্যাংকিতে মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হন। ট্যাংকির মুখ ছোট হওয়ায় মরদেহ উত্তোলন করতে বেগ পেতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহ ট্যাংকি থেকে উত্তোলনের জন্য পাশে দেয়াল ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। একে একে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

উদ্ধারকৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নজব আলী’র ছেলে চুন্নু মিয়া, ফজলুল হক’র ছেলে আলম মিয়া, আতিক মিয়া’র ছেলে সম্রাট মিয়া। তারা সবাই একই এলাকার বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে নাসিরনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে গ্যাসের কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।