ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

পাগলা মসজিদে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে

মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে নয়টি লোহার দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সময় দান বাক্স গুলো খোলা হয়। এতে রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোঃ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দান বাক্স গুলো খোলা হয়েছে মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে পাগলা মসজিদে দুই তলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। তিন মাস পর পর দানবাক্স গুলো খোলা হলেও এবার রমজান মাসের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের এই দানবাক্সগুলো। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।গত বছর ৪ বার খোলা হয়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলো। এতে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ। এবং কিশোরগঞ্জ এই পাগলা মসজিদে বিভিন্ন রোগবালাই জন্য এবং মনের বাসনা পূরণ হয় মানত করিলে আল্লাহর রহমতে মানত হাসিল হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা

পাগলা মসজিদে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে

আপডেট সময় ০৫:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে নয়টি লোহার দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সময় দান বাক্স গুলো খোলা হয়। এতে রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোঃ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দান বাক্স গুলো খোলা হয়েছে মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে পাগলা মসজিদে দুই তলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। তিন মাস পর পর দানবাক্স গুলো খোলা হলেও এবার রমজান মাসের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের এই দানবাক্সগুলো। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।গত বছর ৪ বার খোলা হয়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলো। এতে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ। এবং কিশোরগঞ্জ এই পাগলা মসজিদে বিভিন্ন রোগবালাই জন্য এবং মনের বাসনা পূরণ হয় মানত করিলে আল্লাহর রহমতে মানত হাসিল হয়।