ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ; ছবি ধারণের সময় সাংবাদিক লাঞ্চিত

xr:d:DAGBuilzv5Q:10,j:6459711910009819033,t:24040717

মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিনামূল্যে ভিজিএফর খাদ্য শস্যের চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়া অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধ।

এসময় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা চাল বিতরণের ছবি ধারণ করতে গেলে পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিককে লাঞ্চিত করেন। অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ কেজির স্থলে ৯ থেকে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ কার্ডধারীদের।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু কার্ডধারীদের ৯ থেকে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গরিব অসহায়দের না দিয়ে ভিজিএফের কার্ড দেওয়া হয়েছে বিত্তবানদেরও। এমন অভিযোগ চাল নিতে আসা সুবিধাভোগীদের।
এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছবি ধারন করতে গেলে মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যার ছেলে বাধন ইসলাম সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরা-মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেস্টা করেন। এবং ভিডিও ডিলিট করার জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়।

পরে ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ জানালে মেয়র তেরে এসে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি করেন। এক পর্যায়ে লাঞ্চিতের স্বীকার হন এক সংবাদকর্মী। এসময় পরিবেশ উত্তপ্ত হলে সাময়িকভাবে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সংবাদকর্মীরা ফিরে গেলে আবারো চাল বিতরণ করা হয় সুবিধাভোগিদের।

তবে মেয়রের এমন উগ্র আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌরবাসী। তারা বলছেন, মেয়রের এমন আচরণ মোটেও আশা করা যায় না। তিনি মেয়র গুন্ডা নন। কেউ গোন্ডগোল সৃষ্টি করলে তিনি তা সমাধান করবে। তা না করে মেয়র নিজেই মারামারিতে অংশ নিচ্ছেন।

তারা আরো বলেন, চাল বিতরণে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু তিনি যেভাবে সংবাদকর্মীদের সাথে আচরণ করলো এটাতে পৌরবাসী হতাশ।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ শুনে দ্রুত পৌরসভায় ছুটে আসি। পরে ১০ কেজি পুরণ করে তালিকাভুক্তদের চাল বিতরণ করা হয় বলে দাবি তার।

পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৬২১জন ভিজিএফ কার্ডধারীর জন্য চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী..লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ; ছবি ধারণের সময় সাংবাদিক লাঞ্চিত

আপডেট সময় ১১:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিনামূল্যে ভিজিএফর খাদ্য শস্যের চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়া অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধ।

এসময় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা চাল বিতরণের ছবি ধারণ করতে গেলে পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিককে লাঞ্চিত করেন। অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ কেজির স্থলে ৯ থেকে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ কার্ডধারীদের।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু কার্ডধারীদের ৯ থেকে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গরিব অসহায়দের না দিয়ে ভিজিএফের কার্ড দেওয়া হয়েছে বিত্তবানদেরও। এমন অভিযোগ চাল নিতে আসা সুবিধাভোগীদের।
এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছবি ধারন করতে গেলে মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যার ছেলে বাধন ইসলাম সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরা-মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেস্টা করেন। এবং ভিডিও ডিলিট করার জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়।

পরে ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ জানালে মেয়র তেরে এসে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি করেন। এক পর্যায়ে লাঞ্চিতের স্বীকার হন এক সংবাদকর্মী। এসময় পরিবেশ উত্তপ্ত হলে সাময়িকভাবে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সংবাদকর্মীরা ফিরে গেলে আবারো চাল বিতরণ করা হয় সুবিধাভোগিদের।

তবে মেয়রের এমন উগ্র আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌরবাসী। তারা বলছেন, মেয়রের এমন আচরণ মোটেও আশা করা যায় না। তিনি মেয়র গুন্ডা নন। কেউ গোন্ডগোল সৃষ্টি করলে তিনি তা সমাধান করবে। তা না করে মেয়র নিজেই মারামারিতে অংশ নিচ্ছেন।

তারা আরো বলেন, চাল বিতরণে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু তিনি যেভাবে সংবাদকর্মীদের সাথে আচরণ করলো এটাতে পৌরবাসী হতাশ।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ শুনে দ্রুত পৌরসভায় ছুটে আসি। পরে ১০ কেজি পুরণ করে তালিকাভুক্তদের চাল বিতরণ করা হয় বলে দাবি তার।

পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৬২১জন ভিজিএফ কার্ডধারীর জন্য চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।