ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

যে অভিজ্ঞতা হলো আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডিতে

আসমা আজমেরী:
বাংলাদেশি পাসপোর্টে বিশ্ব ভ্রমণ করা খুব একটা সহজ নয়। মানতে হয় অনেক নিয়ম-নীতি। যা একটি সুইডিশ পাসপোর্ট কিংবা ফিনল্যান্ডের পাসপোর্টে দরকার হয় না। তারা খুব সহজেই এখানে-সেখানে যেতে পারেন।

এরপরেও অনেকটা সাহস নিয়েই চলে এলাম আফ্রিকার ছোট দেশ বুরুন্ডিতে। আমার বিশ্ব ভ্রমণের ১৩৭ তম দেশ। ভিসা নিয়েছিলাম উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা শহর থেকে। তবে অনলাইনে ভিসার মূল দেখেছিলাম ৭০ ডালার। কিন্তু অনলাইনে ভিসা ক্রয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ৯০ ডলার দিয়ে সরাসরি কিনতে হবে।

টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে ৩ দিন অপেক্ষা করে ভিসা পেয়েছিলাম। এই দেশে আসতে হলে বাই রোডে ১৫ ডলার দিয়ে কোভিড টেস্ট করিয়ে আসতে হয়। রুয়ান্ডার কিগালি শহর থেকে নিমাতা নামের ছোট শহরে বাসে করে আসি। তারপর সেখান থেকে বড্ডা বড্ডা (স্থানীয় গাড়ি) করে বর্ডারে নামি। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বুঝুন বড়া শহরে আসি ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে নয়টায়।

রাতের বেলা সস্তার কোনো হোটেল না পাওয়ায় ভিলেজ নামের একটি ইন্ডিয়ান স্বত্বাধিকারীর হোটেলে উঠি ৮০ ডলারের। গতকাল সারাদিন শহরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করি। তারপর একটি সস্তার হোটেলে উঠি। এতে খরচ হয় ৩০ ডলার। খাওয়া-দাওয়া মোটামুটি সব কিছুই পাওয়া যায় তিন থেকে দশ ডলারের মধ্যে।

বুরুন্ডি, আফ্রিকার মহাদেশের ছোট একটি দেশ। পাশে তানজিনিয়া, রূওয়ান্ডা ও কঙ্গো রয়েছে। এ দেশটিতে দেখার মতো তেমন কিছু না থাকলেও মানুষের জীবনযাত্রা ও দৈনন্দিন জীবন অনেক বৈচিত্র্যময়।

আপলোডকারীর তথ্য

চাটখিলে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন, জুতা মিছিল

যে অভিজ্ঞতা হলো আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডিতে

আপডেট সময় ১১:২৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

আসমা আজমেরী:
বাংলাদেশি পাসপোর্টে বিশ্ব ভ্রমণ করা খুব একটা সহজ নয়। মানতে হয় অনেক নিয়ম-নীতি। যা একটি সুইডিশ পাসপোর্ট কিংবা ফিনল্যান্ডের পাসপোর্টে দরকার হয় না। তারা খুব সহজেই এখানে-সেখানে যেতে পারেন।

এরপরেও অনেকটা সাহস নিয়েই চলে এলাম আফ্রিকার ছোট দেশ বুরুন্ডিতে। আমার বিশ্ব ভ্রমণের ১৩৭ তম দেশ। ভিসা নিয়েছিলাম উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা শহর থেকে। তবে অনলাইনে ভিসার মূল দেখেছিলাম ৭০ ডালার। কিন্তু অনলাইনে ভিসা ক্রয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ৯০ ডলার দিয়ে সরাসরি কিনতে হবে।

টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে ৩ দিন অপেক্ষা করে ভিসা পেয়েছিলাম। এই দেশে আসতে হলে বাই রোডে ১৫ ডলার দিয়ে কোভিড টেস্ট করিয়ে আসতে হয়। রুয়ান্ডার কিগালি শহর থেকে নিমাতা নামের ছোট শহরে বাসে করে আসি। তারপর সেখান থেকে বড্ডা বড্ডা (স্থানীয় গাড়ি) করে বর্ডারে নামি। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বুঝুন বড়া শহরে আসি ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে নয়টায়।

রাতের বেলা সস্তার কোনো হোটেল না পাওয়ায় ভিলেজ নামের একটি ইন্ডিয়ান স্বত্বাধিকারীর হোটেলে উঠি ৮০ ডলারের। গতকাল সারাদিন শহরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করি। তারপর একটি সস্তার হোটেলে উঠি। এতে খরচ হয় ৩০ ডলার। খাওয়া-দাওয়া মোটামুটি সব কিছুই পাওয়া যায় তিন থেকে দশ ডলারের মধ্যে।

বুরুন্ডি, আফ্রিকার মহাদেশের ছোট একটি দেশ। পাশে তানজিনিয়া, রূওয়ান্ডা ও কঙ্গো রয়েছে। এ দেশটিতে দেখার মতো তেমন কিছু না থাকলেও মানুষের জীবনযাত্রা ও দৈনন্দিন জীবন অনেক বৈচিত্র্যময়।