ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

‘রমজানে বাজার ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণই চ্যালেঞ্জ’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

রমজান মাসে যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, রমজান মাসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে ছিনতাই, ভেজাল, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা রয়েছে পুলিশের।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ব্যাংক, বিপণিবিতান, শপিং মলসমূহের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে সমন্বয় সভা শেষে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাসের আমাদের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ট্রাফিক। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাজ করছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা দরকার।

যারা গাড়ি ব্যবহার করছেন, যারা গাড়িতে চড়ছেন এবং যারা রাস্তার আশপাশে ব্যবসা করছেন তাদের সহযোগিতা দরকার। তা না হলে ৩০৬ বর্গকিলোমিটার জায়গার ভেতরে যেখানে সোয়া দুই কোটি লোক বসবাস করে সেখানে পুলিশ রাতারাতি ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারবে না। তবে আমরা আশাবাদী সবাই সহযোগিতা করলে ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আর পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করতে পারেন।


তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যারা সংস্কারকাজ করেন ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ অন্যান্য সংস্থা যে উন্নয়নকাজ করে থাকেন, তাঁরা রমজান মাসে সকলের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এসব কাজ বন্ধ রাখবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। এসব কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানাব।’

সড়কে ছিনতাই রমজানে মাসে আরো একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রমজানে মাসে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আরো একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিভিন্ন শপিং মল ও রাস্তায় এবং ব্যাংকের সামনে থেকে ছিনতাই। এ ছাড়া অবৈধ মজুদ করে কৃত্রিমভাবে মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্যে ভেজালও রমজান মাসে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এসব সমস্যা সমাধানে পুলিশ ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এই সমস্যাগুলো সমাধানে সাদা পোশাকের পুলিশও কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘রমজানে মানুষজন যেন বাসায় গিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ইফতার করতে পারে সে লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগও কাজ করবে। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। একই সময়ে রাস্তায় আমাদের বিশেষ ডিপ্লোমেন্ট থাকবে, যাতে মানুষ ঘরে গিয়ে ইফতার করতে পারে। মার্কেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে আমাদের ট্রাফিক ও ক্রাইমের অফিসাররা।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে কেউ রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না―জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কেউ যদি কৃত্রিম উপায়ে ও কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ কাজ করবে।’

ঈদের সময় ফাঁকা ঢাকায় ও রমজানে ছিনতাই প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ছিনতাই একটা সমস্যা। রমজান মাসে এই সমস্যা সমাধানে একটি বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ছিনতাই প্রতিরোধে তৎপর থাকবে। আমি আশা করি রমজান মাস ও ঈদের পর পর্যন্ত মানুষ স্বস্তিতে বসবাস করবে।’

বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করেছে। রমজান মাসে পুলিশ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করবে কি না―জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা

‘রমজানে বাজার ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণই চ্যালেঞ্জ’

আপডেট সময় ০৫:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

রমজান মাসে যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, রমজান মাসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে ছিনতাই, ভেজাল, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা রয়েছে পুলিশের।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ব্যাংক, বিপণিবিতান, শপিং মলসমূহের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে সমন্বয় সভা শেষে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাসের আমাদের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ট্রাফিক। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাজ করছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা দরকার।

যারা গাড়ি ব্যবহার করছেন, যারা গাড়িতে চড়ছেন এবং যারা রাস্তার আশপাশে ব্যবসা করছেন তাদের সহযোগিতা দরকার। তা না হলে ৩০৬ বর্গকিলোমিটার জায়গার ভেতরে যেখানে সোয়া দুই কোটি লোক বসবাস করে সেখানে পুলিশ রাতারাতি ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারবে না। তবে আমরা আশাবাদী সবাই সহযোগিতা করলে ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আর পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করতে পারেন।


তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যারা সংস্কারকাজ করেন ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ অন্যান্য সংস্থা যে উন্নয়নকাজ করে থাকেন, তাঁরা রমজান মাসে সকলের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এসব কাজ বন্ধ রাখবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। এসব কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানাব।’

সড়কে ছিনতাই রমজানে মাসে আরো একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রমজানে মাসে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আরো একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিভিন্ন শপিং মল ও রাস্তায় এবং ব্যাংকের সামনে থেকে ছিনতাই। এ ছাড়া অবৈধ মজুদ করে কৃত্রিমভাবে মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্যে ভেজালও রমজান মাসে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এসব সমস্যা সমাধানে পুলিশ ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এই সমস্যাগুলো সমাধানে সাদা পোশাকের পুলিশও কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘রমজানে মানুষজন যেন বাসায় গিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ইফতার করতে পারে সে লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগও কাজ করবে। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। একই সময়ে রাস্তায় আমাদের বিশেষ ডিপ্লোমেন্ট থাকবে, যাতে মানুষ ঘরে গিয়ে ইফতার করতে পারে। মার্কেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে আমাদের ট্রাফিক ও ক্রাইমের অফিসাররা।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে কেউ রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না―জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কেউ যদি কৃত্রিম উপায়ে ও কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ কাজ করবে।’

ঈদের সময় ফাঁকা ঢাকায় ও রমজানে ছিনতাই প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ছিনতাই একটা সমস্যা। রমজান মাসে এই সমস্যা সমাধানে একটি বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ছিনতাই প্রতিরোধে তৎপর থাকবে। আমি আশা করি রমজান মাস ও ঈদের পর পর্যন্ত মানুষ স্বস্তিতে বসবাস করবে।’

বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করেছে। রমজান মাসে পুলিশ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করবে কি না―জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’