ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধনীতে স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা

দেবাশীষ সরকার, ঢাকা (খিলগাঁও)

রাজধানী ঢাকায় কয়েক দিন ধরে নরমাল (এনএস) স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার নন্দীপাড়া, বনশ্রী সহ বিভিন্ন এলাকার ওষুধের দোকানগুলোতে স্যালাইন মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে রোগীরা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় নরমাল স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে যায়। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। কোম্পানিগুলো বাজারের চাহিদা অনুপাতে উৎপাদন করতে পারেছে না। এর সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু দোকানি মজুত করে রেখেছেন। তারা ৮৭ টাকা দামের স্যালাইন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছে। ঢাকার বনশ্রীতে ইউনিটি এইড হাসপাতালে ভর্তিরত শুভর জন্য ডাক্তার নরমাল স্যালাইন লিখেছেন কিন্তু ফার্মেসিতে নরমাল স্যালাইন নেই। তার ভাই রামপুরা, বনশ্রী, নন্দীপাড়া ঘুরে স্যালাইন পেল না ৷ তার এক আত্মীয়র মাধ্যমে রূপগঞ্জের , নারায়নগঞ্জ থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে স্যালাইন কিনেছেন। বেশ কয়েকটি ফার্মেসি দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানিগুলো স্যালাইন সরবরাহ দিতে পারছে না। এতে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী ওষুধ কোম্পানি থেকে সরাসরি সরবরাহ পেলেও সাধারণ দোকানিরা মোটেই স্যালাইন পাচ্ছে না। এতে নরমাল (এনএস) ৮৭ টাকার স্যালাইন কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মেসি মালিকেদের অভিযোগ, সাধারণ দোকানিরা না পেলেও নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছে স্যালাইনের মজুত রয়েছে। তারা কোম্পানি থেকে সরাসরি কিনে নিচ্ছে। পরে বাজারে সংকট তৈরি ৮৭ টাকার স্যালাইন ৪০০-৫০০ টাকা দামে বিক্রি করছে। সাধারণ দোকানিরা স্যালাইন সরবরাহ পাচ্ছে না। ক্রেতারা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। বিকন কোম্পানির মেডিকেল তথ্য কর্মকর্তা মোঃ শরিফ হোসেন বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে কোম্পানি থেকে যে স্যালাইন তৈরি হচ্ছে তার ৫০ ভাগ সরকার নিয়ে নিচ্ছে আর বাকি ৫০ ভাগ সারাদেশে বিক্রি করা হচ্ছে। যার ফলে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

রাজধনীতে স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা

আপডেট সময় ০৩:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেবাশীষ সরকার, ঢাকা (খিলগাঁও)

রাজধানী ঢাকায় কয়েক দিন ধরে নরমাল (এনএস) স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার নন্দীপাড়া, বনশ্রী সহ বিভিন্ন এলাকার ওষুধের দোকানগুলোতে স্যালাইন মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছে রোগীরা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় নরমাল স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে যায়। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। কোম্পানিগুলো বাজারের চাহিদা অনুপাতে উৎপাদন করতে পারেছে না। এর সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু দোকানি মজুত করে রেখেছেন। তারা ৮৭ টাকা দামের স্যালাইন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছে। ঢাকার বনশ্রীতে ইউনিটি এইড হাসপাতালে ভর্তিরত শুভর জন্য ডাক্তার নরমাল স্যালাইন লিখেছেন কিন্তু ফার্মেসিতে নরমাল স্যালাইন নেই। তার ভাই রামপুরা, বনশ্রী, নন্দীপাড়া ঘুরে স্যালাইন পেল না ৷ তার এক আত্মীয়র মাধ্যমে রূপগঞ্জের , নারায়নগঞ্জ থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে স্যালাইন কিনেছেন। বেশ কয়েকটি ফার্মেসি দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানিগুলো স্যালাইন সরবরাহ দিতে পারছে না। এতে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী ওষুধ কোম্পানি থেকে সরাসরি সরবরাহ পেলেও সাধারণ দোকানিরা মোটেই স্যালাইন পাচ্ছে না। এতে নরমাল (এনএস) ৮৭ টাকার স্যালাইন কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মেসি মালিকেদের অভিযোগ, সাধারণ দোকানিরা না পেলেও নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছে স্যালাইনের মজুত রয়েছে। তারা কোম্পানি থেকে সরাসরি কিনে নিচ্ছে। পরে বাজারে সংকট তৈরি ৮৭ টাকার স্যালাইন ৪০০-৫০০ টাকা দামে বিক্রি করছে। সাধারণ দোকানিরা স্যালাইন সরবরাহ পাচ্ছে না। ক্রেতারা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। বিকন কোম্পানির মেডিকেল তথ্য কর্মকর্তা মোঃ শরিফ হোসেন বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে কোম্পানি থেকে যে স্যালাইন তৈরি হচ্ছে তার ৫০ ভাগ সরকার নিয়ে নিচ্ছে আর বাকি ৫০ ভাগ সারাদেশে বিক্রি করা হচ্ছে। যার ফলে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।