সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় ২০২৩ সালের (২৮ টি স্কুল, ৪ টি ভোকেশনাল ও ১১ টি মাদ্রাসার) এসএসসি, ভোকেশনাল ও দাখিল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৪০৫৩ জন। যার মধ্যে পাশ করেছে ৩০৭১ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯০ জন।
সন্দ্বীপে গত বছরের (২০২২) চেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩৩৩ জন। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ উভয় কমেছে। ২০২২ সালে সন্দ্বীপে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৩৭২০ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০৮ জন।
এ বছরের (২০২৩ সালের) এসএসসি ফলাফল নিয়ে অভিভাবক, সচেতন মহল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফলাফল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় কেউ শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কেউ শিক্ষকদের দায়ী করছেন। কেউ বা আবার অভিভাবক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপকে দায়ী করছেন।
এ বিষয়ে সাপ্তাহিক আলোকিত সন্দ্বীপ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান বলেন, ‘২০২২ সালে সন্দ্বীপ থেকে মাধ্যমিক স্তরে এ+ পেয়েছে ২০৮ জন, এবার এ+ পেয়েছে ৯০ জন। এ থেকে অনুমেয় আমাদের স্কুল-মাদরাসা সমুহে পড়ালেখার মান কোন পর্যায়ে। তিনি এই অবস্থা থেকে উত্তরণে অভিভাবক ও শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি স্কুল-মাদরাসা সমুহে ছাত্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জোর দাবি জানান।’
বই বিষয়ক সংগঠন ‘বইচিন্তা’র সমন্বয়ক নজরুল নাঈম বলেন, ‘অতিমাত্রায় মোবাইল আসক্তি, বই বিমুখতা এবং নোংরা রাজনীতি চর্চার কারণে খারাপ ফলাফল হয়েছে বলে মনে করছি। এটা থেকে উত্তরণে অভিভাবক, শিক্ষক সহ সমাজের সচেতন মানুষদের আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’