ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গলাচিপায় ডায়রিয়ায় দুইজনের মৃত Logo প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা : নারী সহ আটক ৭ Logo বরুড়ার বিএনপির কারা নির্যাতিত ৩০ নেতা কর্মীকে সংবর্ধনা Logo জনগণের কাছ থেকে ভালবাসা দিয়ে ভোট আনতে হবে : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo কীটনাশক প্রয়োগে ৩ একর জমির ধান নষ্টের অভিযোগ Logo সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিখ্যাত অধিকার কর্মী নয়ন বাংগালির মা বিএনপি নেত্রী মেহেরুন্নেসা হককে দেখতে হাসপাতালে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ Logo কুয়াংতোং প্রদেশের আহতদের উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আহ্বান Logo কদমতলীতে মাইক্রোবাস সহ তিন চোর আটক Logo আইপি টিভি মুভি বাংলার সিভিল টিমের নামে দেশজুড়ে চাঁদাবাজি Logo সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদা নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী

বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ থেকে পাস করেছেন দুই জন শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন মাত্র দুই জন। বাকি ৭৩ জনই ফেল করেছেন। এতে পাসের হার দাড়িয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

রোববার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এ ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন অবিভাবকসহ এলাকাবাসী। তারা বলছেন, ওই দুইজন শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ ফেলের তালিকায় নাম উঠেনি কলেজটির। তবে এভাবে চলতে থাকলে সামনে আরও ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

জানা গেছে, পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা বাজারের পাশে ১৯৯৪ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০২১ সালে কলেজটি সরকারি হিসেবে নথিভুক্ত হয়। বর্তমানে কলেজটিতে অধ্যক্ষসহ পাঠদানের জন্য ২৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন ১৪ জন কর্মচারী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুর নামের কল্যাণে কলেজটি সরকারি হলেও কলেজে শিক্ষার মান বাড়েনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজে অধ্যক্ষ নেই। অন্য শিক্ষকরা কলেজের মাঠে গল্প করছেন। সাংবাদিক জেনে কয়েকজন শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে গিয়ে পাঠদান শুরু করেন। নোটিশ বোর্ডে নেই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল। কয়েকজন শিক্ষকের কাছে পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলে দায় সারেন তারা।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. নবিউল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন করে পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি একটু ব্যস্ততার মধ্যে আছি। একটা ফাইলের কাজ করছি। আপনি কলেজের অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন।’

এ বিষয়ে সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজমল আল বাহার বলেন, কলেজটি সরকারি হওয়ার আগে ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা পরিচালিত হতো। তখন কলেজটি ভালো চলেছে, পরীক্ষার রেজাল্টও ভালো হয়েছে। বর্তমানে সরকারি হওয়াতে মনে হচ্ছে শিক্ষকদের লাগাম ধরার মতো কেউ নেই। এমন চলতে থাকলে এলাকার ভবিষৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে।

আপলোডকারীর তথ্য

গলাচিপায় ডায়রিয়ায় দুইজনের মৃত

বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ থেকে পাস করেছেন দুই জন শিক্ষার্থী

আপডেট সময় ১১:৫৬:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন মাত্র দুই জন। বাকি ৭৩ জনই ফেল করেছেন। এতে পাসের হার দাড়িয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

রোববার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এ ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন অবিভাবকসহ এলাকাবাসী। তারা বলছেন, ওই দুইজন শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ ফেলের তালিকায় নাম উঠেনি কলেজটির। তবে এভাবে চলতে থাকলে সামনে আরও ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

জানা গেছে, পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা বাজারের পাশে ১৯৯৪ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০২১ সালে কলেজটি সরকারি হিসেবে নথিভুক্ত হয়। বর্তমানে কলেজটিতে অধ্যক্ষসহ পাঠদানের জন্য ২৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন ১৪ জন কর্মচারী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুর নামের কল্যাণে কলেজটি সরকারি হলেও কলেজে শিক্ষার মান বাড়েনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজে অধ্যক্ষ নেই। অন্য শিক্ষকরা কলেজের মাঠে গল্প করছেন। সাংবাদিক জেনে কয়েকজন শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে গিয়ে পাঠদান শুরু করেন। নোটিশ বোর্ডে নেই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল। কয়েকজন শিক্ষকের কাছে পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলে দায় সারেন তারা।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. নবিউল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন করে পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি একটু ব্যস্ততার মধ্যে আছি। একটা ফাইলের কাজ করছি। আপনি কলেজের অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন।’

এ বিষয়ে সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজমল আল বাহার বলেন, কলেজটি সরকারি হওয়ার আগে ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা পরিচালিত হতো। তখন কলেজটি ভালো চলেছে, পরীক্ষার রেজাল্টও ভালো হয়েছে। বর্তমানে সরকারি হওয়াতে মনে হচ্ছে শিক্ষকদের লাগাম ধরার মতো কেউ নেই। এমন চলতে থাকলে এলাকার ভবিষৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে।