ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীতে পুলিশ লাইন্সের শৌচাগার থেকে পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo মাঠের রাস্তায় জামাই শাশুড়ির বাঁশের বেড়া: বিপাকে দুই গ্রামের কৃষক Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী Logo খুনিদের বিচার আর দেশের সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না- ডাঃ শফিকুর রহমান Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার

আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া দারুল হিকমা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী একই এলাকার মৃত্যু সেরাজ মোল্লার ছেলে পোল্ট্রি মুরগীর ব্যবসায়ী রহিম মোল্লা (৪৫) কে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ জানা যায়,গতকাল ১৮ই জুলাই সকালে ঐ ছাত্রী মাদ্রাসার ক্লাস শেষে বের হলে রহিম মোল্লা ওকে ডেকে নেয়। তারপর ওকে চকলেট কিনে ও পঞ্চাশটি টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে একটি খালী দোকানের পিছনে নিয়ে যায়। ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং একথা কাউকে বললে ওকে সহ ওর বোন ফারজানাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।ধর্ষণের বিষয়টি বিষয়টি ওর বোন ফারজানা জানতে পেরে ওকে চাপ দেয়। পরে ধর্ষিতা ধর্ষনের কথা স্বীকার করলে ওর বোন ভগ্নিপতি সহ আত্মীয় স্বজনরা গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আমতলী হাসপাতালে বসেই কথা হয় ধর্ষিতা ও বোনের সাথে। কান্নায় ধর্ষিতা মুখ থেকে কথা বের হচ্ছিল না। তবুও ওর বক্তব্য নেওয়ার সময়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, এর আগেও অভিযুক্ত রহিম মোল্লা মেয়েটিকে কয়েকবার ধর্ষন করলেও ওকে সহ বোনকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার কারনে পরিবার সহ কাউকে ধর্ষনের বিষয়টি জানায়নি। ধর্ষণের শিকার ঐ ছাত্রীর বাবা-মা শারীরিক ভাবে পঙ্গু এবং তাদের বিছানায়ই থাকতে হয়। এই পরিবারের সকলকে বোন ফারজানা পরিচালনা করে থাকে।

আমতলী হাসপাতালে বসে ধর্ষিতার বোন ফারজানার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে ঐ মেয়েকে জিজ্ঞাস্য করলে প্রথমে ভয়তে ও কিছু বলতে পারবেনা বলার পর লাঠিসোটা হাতে নিলে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেন। এরপর ধর্ষিতাকে স্বজনরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।বোন ফারজানা আরও জানান, এর আগেও রহিম মোল্লা তার বোনকে আরও কয়েকবার ধর্ষন করেছে কিন্তু ধর্ষিতা ও বোনকে মেরে ফেলার ভয়তে কাউকে এ কথা জানায়নি।

আমড়াগাছিয়া দারুল হিকমা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক আঃ রহিম বলেন,খবর পেয়ে আমি আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যাই এখনো এখানেই আছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে ফারজানা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ধরনের পরীক্ষার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাব না থাকায় জেলা শহর বরগুনার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তে প্রেরণ করা হয়েছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে গতকাল রাতেই রহিম মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে পুলিশ লাইন্সের শৌচাগার থেকে পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

SBN

SBN

আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

আপডেট সময় ১২:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া দারুল হিকমা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী একই এলাকার মৃত্যু সেরাজ মোল্লার ছেলে পোল্ট্রি মুরগীর ব্যবসায়ী রহিম মোল্লা (৪৫) কে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ জানা যায়,গতকাল ১৮ই জুলাই সকালে ঐ ছাত্রী মাদ্রাসার ক্লাস শেষে বের হলে রহিম মোল্লা ওকে ডেকে নেয়। তারপর ওকে চকলেট কিনে ও পঞ্চাশটি টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে একটি খালী দোকানের পিছনে নিয়ে যায়। ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং একথা কাউকে বললে ওকে সহ ওর বোন ফারজানাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।ধর্ষণের বিষয়টি বিষয়টি ওর বোন ফারজানা জানতে পেরে ওকে চাপ দেয়। পরে ধর্ষিতা ধর্ষনের কথা স্বীকার করলে ওর বোন ভগ্নিপতি সহ আত্মীয় স্বজনরা গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আমতলী হাসপাতালে বসেই কথা হয় ধর্ষিতা ও বোনের সাথে। কান্নায় ধর্ষিতা মুখ থেকে কথা বের হচ্ছিল না। তবুও ওর বক্তব্য নেওয়ার সময়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, এর আগেও অভিযুক্ত রহিম মোল্লা মেয়েটিকে কয়েকবার ধর্ষন করলেও ওকে সহ বোনকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার কারনে পরিবার সহ কাউকে ধর্ষনের বিষয়টি জানায়নি। ধর্ষণের শিকার ঐ ছাত্রীর বাবা-মা শারীরিক ভাবে পঙ্গু এবং তাদের বিছানায়ই থাকতে হয়। এই পরিবারের সকলকে বোন ফারজানা পরিচালনা করে থাকে।

আমতলী হাসপাতালে বসে ধর্ষিতার বোন ফারজানার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে ঐ মেয়েকে জিজ্ঞাস্য করলে প্রথমে ভয়তে ও কিছু বলতে পারবেনা বলার পর লাঠিসোটা হাতে নিলে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেন। এরপর ধর্ষিতাকে স্বজনরা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।বোন ফারজানা আরও জানান, এর আগেও রহিম মোল্লা তার বোনকে আরও কয়েকবার ধর্ষন করেছে কিন্তু ধর্ষিতা ও বোনকে মেরে ফেলার ভয়তে কাউকে এ কথা জানায়নি।

আমড়াগাছিয়া দারুল হিকমা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক আঃ রহিম বলেন,খবর পেয়ে আমি আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যাই এখনো এখানেই আছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে ফারজানা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ধরনের পরীক্ষার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাব না থাকায় জেলা শহর বরগুনার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তে প্রেরণ করা হয়েছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে গতকাল রাতেই রহিম মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হবে।