ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম Logo মোংলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, তদন্তে বিএনপি Logo ভোট দিতে এসে প্রান হারালেন মোটর শ্রমিক সদস্য Logo অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের ‘হানিমুন পিরিয়ড’ শেষ হয়েছে – আবু হানিফ Logo কুমিল্লায়  জাতীয় গন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান Logo কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৪ আহত ৪ Logo ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ পেট্রোল পাম্প বন্ধ, ভোগান্তিতে জনসাধারণ Logo রাঙ্গামাটিতে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু Logo মুরাদনগরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবতীকে টেঁটা বিদ্ধ করলেন চাচা Logo শেরপুর সদর -১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম

কক্সবাজারে রাস্তা ও ড্রেন দখল করে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন

কক্সবাজার শহরের পশ্চিম পাহাড়তলী বড়ুয়া পাড়ায় চলাচলের রাস্তা ও পৌরসভার ড্রেন দখল করে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। বিএনপি নেতা দীপক বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তি ওই বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। ড্রেন ও রাস্তা দখল করায় কোনভাবেই সড়কে প্রবেশ করতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী যানবাহন। পাশাপাশি সংকুচিত হয়ে পড়েছে বৌদ্ধ বিহারের চলাচলের রাস্তাও। এলাকার প্রায় সাড়ে ৩০০ পরিবার বিএনপি নেতা ওই দীপকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।

মঙ্গলবার (২৮ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার সময়, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীপক বড়ুয়ার নির্মিতব্য ভবনে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনপত্রে ভবনের সামনের মেইন রোড আর দক্ষিণ পাশের বৌদ্ধ মন্দির ও স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তা থেকে ৩ ফুট ভিতরে ভবন নির্মাণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু দীপক বড়ুয়া কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ওল্টো প্রভাব বিস্তার করে চলাচলের রাস্তা ও ভবনের সামনে পৌরসভার ড্রেনের জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর ও দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে পরপর ৩ বার লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার মোঃ রিশাদ উন নবী ও ইমারত পরিদর্শক ডেভিড চাকমা সরেজমিনে পরিদর্শন করে রাস্তা দখলের প্রমাণ পেয়েছেন। তারা দীপক বড়ুয়াকে অবৈধভাবে দখলে থাকা ড্রেন ও দক্ষিণ পাশের স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তার জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ এবং নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে রাস্তার জায়গা এখনো ছেড়ে দেননি দীপক বড়ুয়া।

স্থানীয় বাবুল বড়ুয়া, সুমন বড়ুয়া ও রবিন্দ্র বিজয় বড়ুয়া অভিযোগ করে বলেন, দীপক বড়ুয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করলেও নির্দেশনা অমান্য করছেন। ইতিমধ্যে ভবনের চারতলা কাজ শেষ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় কউক যদি কোন ব্যবস্থা না নেন তাহলে এলাকাবাসীর সাথে ভবনের মালিক দীপক বড়ুয়ার সাথে বড় ধরনের একটা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীপক বড়ুয়ার বাড়ির ১ শত ফুটের ভিতরে আরো ৫/৬ জন ব্যক্তি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে চলাচলের রাস্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা ছেড়ে দিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন। কিন্তু দীপক বড়ুয়া কারো নির্দেশ ও অনুরোধ তোয়াক্কা করছে না। এতে এলাকার সাড়ে ৩শ শতাধিক পরিবারের লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাপন চরম হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে কথা হলে দীপক বড়ুয়ার স্ত্রী জানিয়েছেন, এই এলাকায় আগে রাস্তার পর্যাপ্ত জায়গা না রেখে অনেকেই ভবন নির্মাণ করেছে। বাকিরা রাস্তার জায়গা ছেড়ে দিলে আমারও দিতে রাজি আছি।

এই বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দীপক বড়ুয়ার নির্মিতব্য ভবনের অনিয়ম পাওয়া গেছে। কয়েকবার সরেজমিনের গিয়ে দীপক বড়ুয়াকে সতর্ক করা হয়েছে।

তার এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

SBN

SBN

কক্সবাজারে রাস্তা ও ড্রেন দখল করে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন

আপডেট সময় ০৯:১৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজার শহরের পশ্চিম পাহাড়তলী বড়ুয়া পাড়ায় চলাচলের রাস্তা ও পৌরসভার ড্রেন দখল করে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। বিএনপি নেতা দীপক বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তি ওই বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। ড্রেন ও রাস্তা দখল করায় কোনভাবেই সড়কে প্রবেশ করতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী যানবাহন। পাশাপাশি সংকুচিত হয়ে পড়েছে বৌদ্ধ বিহারের চলাচলের রাস্তাও। এলাকার প্রায় সাড়ে ৩০০ পরিবার বিএনপি নেতা ওই দীপকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।

মঙ্গলবার (২৮ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার সময়, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীপক বড়ুয়ার নির্মিতব্য ভবনে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনপত্রে ভবনের সামনের মেইন রোড আর দক্ষিণ পাশের বৌদ্ধ মন্দির ও স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তা থেকে ৩ ফুট ভিতরে ভবন নির্মাণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু দীপক বড়ুয়া কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ওল্টো প্রভাব বিস্তার করে চলাচলের রাস্তা ও ভবনের সামনে পৌরসভার ড্রেনের জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর ও দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে পরপর ৩ বার লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার মোঃ রিশাদ উন নবী ও ইমারত পরিদর্শক ডেভিড চাকমা সরেজমিনে পরিদর্শন করে রাস্তা দখলের প্রমাণ পেয়েছেন। তারা দীপক বড়ুয়াকে অবৈধভাবে দখলে থাকা ড্রেন ও দক্ষিণ পাশের স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তার জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ এবং নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে রাস্তার জায়গা এখনো ছেড়ে দেননি দীপক বড়ুয়া।

স্থানীয় বাবুল বড়ুয়া, সুমন বড়ুয়া ও রবিন্দ্র বিজয় বড়ুয়া অভিযোগ করে বলেন, দীপক বড়ুয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করলেও নির্দেশনা অমান্য করছেন। ইতিমধ্যে ভবনের চারতলা কাজ শেষ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় কউক যদি কোন ব্যবস্থা না নেন তাহলে এলাকাবাসীর সাথে ভবনের মালিক দীপক বড়ুয়ার সাথে বড় ধরনের একটা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীপক বড়ুয়ার বাড়ির ১ শত ফুটের ভিতরে আরো ৫/৬ জন ব্যক্তি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে চলাচলের রাস্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা ছেড়ে দিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন। কিন্তু দীপক বড়ুয়া কারো নির্দেশ ও অনুরোধ তোয়াক্কা করছে না। এতে এলাকার সাড়ে ৩শ শতাধিক পরিবারের লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাপন চরম হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে কথা হলে দীপক বড়ুয়ার স্ত্রী জানিয়েছেন, এই এলাকায় আগে রাস্তার পর্যাপ্ত জায়গা না রেখে অনেকেই ভবন নির্মাণ করেছে। বাকিরা রাস্তার জায়গা ছেড়ে দিলে আমারও দিতে রাজি আছি।

এই বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দীপক বড়ুয়ার নির্মিতব্য ভবনের অনিয়ম পাওয়া গেছে। কয়েকবার সরেজমিনের গিয়ে দীপক বড়ুয়াকে সতর্ক করা হয়েছে।

তার এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।