ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম Logo ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় মুরাদনগরে দোয়া মাহফিল Logo রাণীনগরে ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo কালীগঞ্জে অপহরণের ১৬ ঘন্টা পর এক যুবককে উদ্ধার, তিন অপহরণকারী গ্রেফতার Logo শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার পর সীমান্তে বিজিবির কড়া নিরাপত্তা Logo দীগলটারীতে ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের পাঁচ শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ Logo নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু  Logo লাকসাম গোবিন্দপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশ Logo শাহরাস্তি পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবি

কালীগঞ্জে খুদে প্রকৌশলী আল সিয়ামের অনন্য প্রতিভা

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার আড়পাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী ও আদুরি বেগমের একমাত্র সন্তান আল সিয়াম। ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ১১ বছর বয়সি আল সিমায় নিজ মেধা খাটিয়ে তৈরী করেছে বাস, ট্রাক, ট্রকটার, ডামট্রাক, মিনিবাস,রোবটসহ নানা খেলনা যানবাহন। কিশোর সিমায়ের এ প্রতিভাতে মুগ্ধ পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবাই। সরেজমিনে সিয়ামের বাড়িতে যেয়ে দেখা যায়, আড়পাড়া গ্রামে শাহজাহান আলী নিজ বাড়িতে ছোট একটি ব্রইলার মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। তিনি কোম্পানীতে চাকুরিরত থাকায় খামারটি দেখাশোনা করেন তার স্ত্রী আদুরি বেগম। এ খামারের পাশেই তাদেরএকমাত্র সন্তান আল সিয়ামের নিজস্ব ছোট্ট গবেষণাগার। তার এ গবেষণাগারে রয়েছে নানা ধরনের স্বল্প মূল্যের বৈদ্যতিক যন্ত্রপাতি। আল সিয়াম এ ঘরে বসেই তৈরী করেছে রোবট, স্মার্ট বাসসহ একাধিক ছোটো বড় যানবাহন। এ সময় দেখা যায় , আল সিয়ামের তৈরী রোবট তার কথার উত্তর দিচ্ছে সাবলিলভাবে।

খুদে প্রকৌশলী আল সিয়াম এই প্রতিবেদককে জানায়, আমি স্মার্ট বাস, ট্রাক, রোবটসহ একাধিক যন্ত্র তৈরী করেছি ল। আমার তৈরী রোবট আমার বানানো ডিভাইস দিয়ে চালাইট ল। পড়ালেখার পাশাপাশি এগুলো আমি তৈরী করি। আমার স্বপ্ন আমি এমন কিছু আবিষ্কার করবো যা দিয়ে দেশে উপকার হবে। আল সিয়ামের মা আদুরি বেগম বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না, ওর বাবা এসবের জন্য মোটেও রাজি ছিল না। ওর টুকিটাকি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য খামারের মুরগির ডিম বিক্রয়ের টাকা আমি গোপনে ছেলেকে দিতাম।

পরে ছেলের আগ্রহ দেখে তার এসব তৈরী করার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আল সিয়ামের বাবা শাহজাহান আলী জানান, প্রথমে ছেলের এব তৈরী করা আমি পছন্দ করতাম না। পরে ছেলের এসব খেলনা তৈরী দেখে মনটা ভাল হয়ে গেছে। তবে ছেলের সকল যন্ত্রপাতি কিনে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। ছেলেটাকে আরো সহায়তা করতে পারলে হয়তো সে আরো ভাল কিছু বানাতে পারবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

SBN

SBN

কালীগঞ্জে খুদে প্রকৌশলী আল সিয়ামের অনন্য প্রতিভা

আপডেট সময় ১১:৪০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার আড়পাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী ও আদুরি বেগমের একমাত্র সন্তান আল সিয়াম। ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ১১ বছর বয়সি আল সিমায় নিজ মেধা খাটিয়ে তৈরী করেছে বাস, ট্রাক, ট্রকটার, ডামট্রাক, মিনিবাস,রোবটসহ নানা খেলনা যানবাহন। কিশোর সিমায়ের এ প্রতিভাতে মুগ্ধ পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবাই। সরেজমিনে সিয়ামের বাড়িতে যেয়ে দেখা যায়, আড়পাড়া গ্রামে শাহজাহান আলী নিজ বাড়িতে ছোট একটি ব্রইলার মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। তিনি কোম্পানীতে চাকুরিরত থাকায় খামারটি দেখাশোনা করেন তার স্ত্রী আদুরি বেগম। এ খামারের পাশেই তাদেরএকমাত্র সন্তান আল সিয়ামের নিজস্ব ছোট্ট গবেষণাগার। তার এ গবেষণাগারে রয়েছে নানা ধরনের স্বল্প মূল্যের বৈদ্যতিক যন্ত্রপাতি। আল সিয়াম এ ঘরে বসেই তৈরী করেছে রোবট, স্মার্ট বাসসহ একাধিক ছোটো বড় যানবাহন। এ সময় দেখা যায় , আল সিয়ামের তৈরী রোবট তার কথার উত্তর দিচ্ছে সাবলিলভাবে।

খুদে প্রকৌশলী আল সিয়াম এই প্রতিবেদককে জানায়, আমি স্মার্ট বাস, ট্রাক, রোবটসহ একাধিক যন্ত্র তৈরী করেছি ল। আমার তৈরী রোবট আমার বানানো ডিভাইস দিয়ে চালাইট ল। পড়ালেখার পাশাপাশি এগুলো আমি তৈরী করি। আমার স্বপ্ন আমি এমন কিছু আবিষ্কার করবো যা দিয়ে দেশে উপকার হবে। আল সিয়ামের মা আদুরি বেগম বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না, ওর বাবা এসবের জন্য মোটেও রাজি ছিল না। ওর টুকিটাকি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য খামারের মুরগির ডিম বিক্রয়ের টাকা আমি গোপনে ছেলেকে দিতাম।

পরে ছেলের আগ্রহ দেখে তার এসব তৈরী করার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আল সিয়ামের বাবা শাহজাহান আলী জানান, প্রথমে ছেলের এব তৈরী করা আমি পছন্দ করতাম না। পরে ছেলের এসব খেলনা তৈরী দেখে মনটা ভাল হয়ে গেছে। তবে ছেলের সকল যন্ত্রপাতি কিনে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। ছেলেটাকে আরো সহায়তা করতে পারলে হয়তো সে আরো ভাল কিছু বানাতে পারবে।