
সালাউদ্দিন সোহাগ, স্টাফ রিপোর্টার
“দ্যা এশিয়ান রেনেসাঁস” বইটি এশিয়া মহাদেশের ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় সর্বাধিক বিক্রিত বই হিসেবে স্থান পেয়েছে । বইটি অনূদিত করেছেন,বাংলাদেশের একজন সফল উদ্যোক্তা, আস্থা গ্রুপের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও কচুয়ার কৃতি সন্তান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও লেখক হাবীব কাইউম।
এই বইটি যুগান্তকারী এশিয়ার আত্মপরিচয়, সভ্যতা, ঐতিহ্য এবং সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে একটি নতুন বোধ জাগাতে চায়। পশ্চিমা আধিপত্যের বয়ানের বাইরে গিয়ে, এশীয় সমাজ ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে একটি নবজাগরণের কথা বলে। এতে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে এশিয়া তার হারানো আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করে একটি মানবিক, বহুমাত্রিক ও জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
এক প্রতিক্রিয়ায় আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আমার অনূদিত “দ্যা এশিয়ান রেনেসাঁস” বইটি এশিয়া মহাদেশের ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় সর্বাধিক বিক্রিত বই হিসেবে স্থান পাওয়ায় পাঠক,শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য অন্তরের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাই।
বইটির উল্লেখযোগ্য দিক হলো: এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী ও আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনোয়ার ইবরাহিমের আদর্শিক চিন্তাভাবনা আদতে কেমন? এশিয়ার ভূ-রাজনীতি নিয়ে গত কয়েক দশকে তিনি কীভাবে তার চিন্তা-কাঠামোকে উপস্থাপন করেছেন? তার চোখে দেখা এশিয়া কেমন? ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রকাশিত ‘
‘ গ্রন্থে তৎকালীন মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বৃহদার্থে সহিষ্ণুতা, উদারতা ও বহুবৈচিত্রের এশিয়ার জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। আলোকোজ্জ্বল, নিখুঁত চিত্রের এবং চিন্তা জাগানিয়া এসব প্রবন্ধ সংকলন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাজনীতিকে বুঝতে সহযোগিতা করবে এবং পাঠক মনে পরিবর্তনের স্পৃহা জাগিয়ে তুলবে।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামের মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নানের কনিষ্ঠ ছেলে। ৫ ভাই ৩ বোনের মধ্যে সবার ছোট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, পারিবারিক ভাবে তাঁরা সকলেই প্রতিষ্ঠিত ও সু-শিক্ষিত। তিনি ব্যবসা ও কর্মের পাশাপাশি উপন্যাস,গবেষণা,লেখালেখি ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রযুক্তি ও সেবামূলক খাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করছে।