ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খালেদা জিয়ার বাসভবনে পাকিস্তানের স্পিকার ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ Logo চাঁদপুর বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠি Logo ঈমানী অবিচলতা ও দেশপ্রেমের আলোকবর্তিকা: বেগম খালেদা জিয়া Logo সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান আর নেই  Logo কালীগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo ভালোবাসা, অশ্রু আর শ্রদ্ধায় মোড়া বিদায়: খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন Logo জাপানের মেট্রো স্ক্রিনে প্রদর্শিত হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর শোক বার্তা Logo বেইজিংয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামীণ কর্ম সম্মেলন Logo চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে খালেদা জিয়ার গুরুত্ব Logo এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় উন্নয়ন অংশীদারিত্ব জোরদার করছে চীন

ফুলবাড়ীতে অসুস্থ ছাগলের পঁচা মাংস বিক্রির অভিযোগে জরিমানা

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী বাজারে অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল তাতক্ষণিক মোবাইল কোট এর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর ২ টায় ফুলবাড়ী বাজারে অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করার খবর পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাল তমাল উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান ও সেনেটারী ইন্সপেক্টর জগদীশ চন্দ্র এর মাধ্যমে জবাই করা ছাগলের মাংস পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মাংস বিক্রেতা মোঃ মমিনুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করেন। জবাইয়ের আগে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও তা ঠিকমত মানা হচ্ছেনা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও পৌরসভার দতারকীর অভাবে কতিপয় অসাধু কসাই বেশি মুনাফার লোভে অসুস্থ গরু ছাগল কম দামে কিনে এর মাংস বিক্রি করছে। খবর নিয়ে জানা যায়, ছাগলটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ ছিলো এবং ছাগলের আঘাতের স্থানে মাংসগুলোর পঁচন ধরেছিলো। মাংসের পঁচন থাকার পরেও কসাই মমিনুল ইসলাম তা বিক্রি করছিলেন।

চকচকা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি শুনেছি গরু ও ছাগল একসাথে বাধা ছিলো। সেখানেই ছাগলটি গরুর আঘাতে আহত হয়। অসুস্থ ছাগলটি কসাইয়ের নিকট বিক্রি করেছে।

উত্তর সুজাপুর গ্রামের ছাগল বিক্রেতা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ছাগলটি অসুস্থ ছিলো। গতকাল ছাগলটি গরুর আঘাতে আহত হয়েছিলো। আহত ছাগলটি ভালো হবেনা ভেবে কসাইয়ের নিকট বিক্রি করেছি।

চকচকা গ্রামের বাসিন্দা কসাই মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থ ছাগল কিনে জবাই করে বিক্রি করার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ আসে। তিনি ছাগলটি উপজেলায় নিয়ে আসতে বলেন। ছাগল আনার পর সেটাকে পুতে রাখতে বলেন আর ২০ হাজার টাকা জরিমান করেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ছাগলটির পরীক্ষার পর মনে হয়েছে কিছুদিন আগে ছাগলটি আঘাত পেয়েছে। আঘাতটি গরু কিংবা কুকুরের কামড়ে হতে পারে। আঘাতের স্থানের মাংসগুলোর পঁচন ধরেছে। আঘাতপ্রাপ্ত ছাগলটির মাংস খাওয়া যাবেনা বরং যতদ্রুত সম্ভব ছাগলটিকে মাটিতে পুতে রাখা দরকার।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মোঃ মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রতিদিন সকালে গরু-ছাগল জবাই করার সময় আমাদের সেনেটারী ইন্সপেক্টর ভিজিট করে সুস্থ পশুগুলোকে জবাই করার অনুমতি দেন। কিন্তু আজকে দুপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাংখিত। সাধারণত এই সময় আমাদের লোক থাকেনা। এই সুযোগটি তারা নিয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার বাসভবনে পাকিস্তানের স্পিকার ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

SBN

SBN

ফুলবাড়ীতে অসুস্থ ছাগলের পঁচা মাংস বিক্রির অভিযোগে জরিমানা

আপডেট সময় ০৫:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী বাজারে অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল তাতক্ষণিক মোবাইল কোট এর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর ২ টায় ফুলবাড়ী বাজারে অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করার খবর পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাল তমাল উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান ও সেনেটারী ইন্সপেক্টর জগদীশ চন্দ্র এর মাধ্যমে জবাই করা ছাগলের মাংস পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মাংস বিক্রেতা মোঃ মমিনুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করেন। জবাইয়ের আগে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও তা ঠিকমত মানা হচ্ছেনা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও পৌরসভার দতারকীর অভাবে কতিপয় অসাধু কসাই বেশি মুনাফার লোভে অসুস্থ গরু ছাগল কম দামে কিনে এর মাংস বিক্রি করছে। খবর নিয়ে জানা যায়, ছাগলটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ ছিলো এবং ছাগলের আঘাতের স্থানে মাংসগুলোর পঁচন ধরেছিলো। মাংসের পঁচন থাকার পরেও কসাই মমিনুল ইসলাম তা বিক্রি করছিলেন।

চকচকা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি শুনেছি গরু ও ছাগল একসাথে বাধা ছিলো। সেখানেই ছাগলটি গরুর আঘাতে আহত হয়। অসুস্থ ছাগলটি কসাইয়ের নিকট বিক্রি করেছে।

উত্তর সুজাপুর গ্রামের ছাগল বিক্রেতা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ছাগলটি অসুস্থ ছিলো। গতকাল ছাগলটি গরুর আঘাতে আহত হয়েছিলো। আহত ছাগলটি ভালো হবেনা ভেবে কসাইয়ের নিকট বিক্রি করেছি।

চকচকা গ্রামের বাসিন্দা কসাই মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থ ছাগল কিনে জবাই করে বিক্রি করার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ আসে। তিনি ছাগলটি উপজেলায় নিয়ে আসতে বলেন। ছাগল আনার পর সেটাকে পুতে রাখতে বলেন আর ২০ হাজার টাকা জরিমান করেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ছাগলটির পরীক্ষার পর মনে হয়েছে কিছুদিন আগে ছাগলটি আঘাত পেয়েছে। আঘাতটি গরু কিংবা কুকুরের কামড়ে হতে পারে। আঘাতের স্থানের মাংসগুলোর পঁচন ধরেছে। আঘাতপ্রাপ্ত ছাগলটির মাংস খাওয়া যাবেনা বরং যতদ্রুত সম্ভব ছাগলটিকে মাটিতে পুতে রাখা দরকার।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মোঃ মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রতিদিন সকালে গরু-ছাগল জবাই করার সময় আমাদের সেনেটারী ইন্সপেক্টর ভিজিট করে সুস্থ পশুগুলোকে জবাই করার অনুমতি দেন। কিন্তু আজকে দুপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাংখিত। সাধারণত এই সময় আমাদের লোক থাকেনা। এই সুযোগটি তারা নিয়েছে।