বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর জেলা যুবলীগের সদস্য কেরামত আলী মোল্লার বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৭৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় তার স্ত্রী সুলতানা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩০শে জুলাই-০২৪ইং মঙ্গলবার যশোর শহরতলীর বিরামপুর এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় কেরামত আলী মোল্লা পালিয়ে যান।
জানা গেছে, ৩০শে জুলাই-০২৪ইং তারিখ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরতলীর বিরামপুর ফকিরার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ সুলতানা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় কেরামত আলী মোল্লা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরে সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। কেরামত আলীর বিরুদ্ধে যশোর জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যশোরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন বলেন, কেরামত আলী মোল্লা ও তার স্ত্রী এলাকায় মাদকের কারবার করেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ছদ্মবেশে বেশ কয়েকদিন এলাকায় তদারকি করি।
তিনি বলেন, অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেরামত আলী মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর জানতে পেরে কেরামত আলী মোল্লা পালিয়ে যান।
আসলাম হোসেন আরও বলেন, তার বসতঘরে অভিযান চালিয়ে সাত বান্ডিলে ২৫ বোতল করে মোট ১৭৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ফেনসিডিল তার শোয়ার ঘরে খাটের নিচে সাজানো ছিল। এ সময় কেরামত আলী মোল্লার স্ত্রী সুলতানা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক শাহীন পারভেজ বাদী হয়ে সুলতানা বেগম ও তার স্বামী কেরামত আলী মোল্লাকে আসামি করে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেছেন।