ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনের পরিষেবা বাণিজ্য মেলায় একটি অনন্য আকর্ষণ রয়েছে:ফার্গুসন Logo বরুড়ায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক মান উন্নয়নের লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বরুড়ার সাবেক এমপি নজরুলের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক Logo যাত্রীবেশে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নেয় চোর চক্র Logo ওবায়দুল কাদের আমার বাসায় না এসে বিদেদেশ পালিয়েছে : মির্জা ফখরুল Logo খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু Logo খাগড়াছড়িতে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দুদের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় Logo সিএমজি’র ‘রিটেন ইন দ্য স্কাই: মাই চায়না স্টোরি’ কার্যক্রম Logo দক্ষিণ চীন সাগরে উস্কানির পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে Logo সিলেটের গোয়াইনঘাট রাতারগুল হারাচ্ছে পর্যটন আকর্ষণ

বরুড়ায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পরিচয় প্রকাশের ভয়ে ইমুকে হত্যা জসিম

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বরুড়ায় ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ার পর পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ৯ বছরের শিশু নাদিয়া সুলতানা ইমুকে হত্যা করে আসামি মো. জসিম উদ্দিন (২২)। এই হত্যার দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া জসিমের জবানবন্দির বরাত দিয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার এ তথ্য জানান।

ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জসিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে জসিম জানান, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি শিশুটিকে নির্জন স্থানে নিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুটি এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখালে জসিম গলায় ওড়না পেচিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। আসামি হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর নিশ্চিত হওয়া হবে।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের গজারিয়া পূর্ব কলনীপাড়া এলাকা থেকে ইমুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মনজুমা বেগমের মেয়ে।

নিহত ইমুর ফুপাত ভাই আল আমিন বলেন, ইমু স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। পরীক্ষা শেষে সে পাশের গ্রামের খালার বাড়ি পূর্ব গজারিয়াতে বেড়াতে আসে। বুধবার বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশী জসিমকে আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়া হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, পাশের বাঁশঝাড় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ভাউকসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মাশরুল হক বলেন, ‘জসিমকে সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের পরিষেবা বাণিজ্য মেলায় একটি অনন্য আকর্ষণ রয়েছে:ফার্গুসন

SBN

SBN

বরুড়ায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পরিচয় প্রকাশের ভয়ে ইমুকে হত্যা জসিম

আপডেট সময় ০৪:০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বরুড়ায় ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ার পর পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ৯ বছরের শিশু নাদিয়া সুলতানা ইমুকে হত্যা করে আসামি মো. জসিম উদ্দিন (২২)। এই হত্যার দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া জসিমের জবানবন্দির বরাত দিয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার এ তথ্য জানান।

ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জসিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে জসিম জানান, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি শিশুটিকে নির্জন স্থানে নিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুটি এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখালে জসিম গলায় ওড়না পেচিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। আসামি হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর নিশ্চিত হওয়া হবে।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের গজারিয়া পূর্ব কলনীপাড়া এলাকা থেকে ইমুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মনজুমা বেগমের মেয়ে।

নিহত ইমুর ফুপাত ভাই আল আমিন বলেন, ইমু স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। পরীক্ষা শেষে সে পাশের গ্রামের খালার বাড়ি পূর্ব গজারিয়াতে বেড়াতে আসে। বুধবার বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশী জসিমকে আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়া হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, পাশের বাঁশঝাড় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ভাউকসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মাশরুল হক বলেন, ‘জসিমকে সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’