মো. ওমর ফারুক অনিক, মালদ্বীপ প্রতিনিধি: ৯ জানুয়ারি সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় রাজধানী মালে শহরের বাংগালী মার্কেট নামে ক্ষ্যত নীলন ফিহারা/পুরাতন মার্কেটে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের পাশাপাশি আবাসন ব্লকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মালে সিটি-কাউন্সিলের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য আবাসনের এখনও কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। ব্লক টিতে থাকা একজন ভারতীয় ও বৈধ-অবৈধ মিলে মোট ২০২ জন প্রবাসী বাংলাদেশির আবাসন ছিলো।
প্রবাসী শ্রমিকদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে যে-ই স্থানে রাখা হয়েছিল এখোনও তাদের সেই মালদ্বীপের ইমাদুদ্দিন স্কুলের আঙিনায় তারা অবস্থান করছেন।ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশি আবুল কালাম জানান, তাদের খাওয়াদাওয়ার কোনো সমস্যা নেই সমস্যা শুধু গোসল এবং তাদের থাকার বাসস্থান। তিনি আরও জানান এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি তাদের কোথায় বাসস্থান দেওয়া হবে। তাদের দ্বায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা শুধু জানিয়েছেন টেম্পোরারি হিসেবে রাতে থাকার জন্য পার্শ্ববর্তী হুলেমালে সিটিতে যেতে হবে এবং সকালে পুনরায় তাদের স্কুলের আঙিনায় অবস্থান করতে হবে যতক্ষণনা তাদের জন্য সিটি-কাউন্সিল থেকে বাসস্থানের ব্যাবস্থা করা না হয়।
মালদ্বীপের স্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে, সিটি মেয়র ডা. মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেন, আজ সকালে নগর পরিষদ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও যুব মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে (এনডিএমএ) অনুরোধ করেছেন প্রবাসী শ্রমিকদের পার্শ্ববর্তী হুলেমালে সিটিতে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য, কিন্তু এখোনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি, সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত আপাতত এইখানে অবস্থান করতে হচ্ছে এবং অতি দ্রুত সিটি-কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে কাউন্সিলের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হল শ্রমিকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও তাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করা।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় রাজধানী মালে সিটির বাঙালি মার্কেট নামে খ্যাত নীলন ফিহারা/পুরাতন মার্কেটে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মালদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স এবং জনসাধারণের যৌথ প্রচেষ্টায় আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে, বিপুল সংখ্যক আবাসিক বাড়ি এবং বেশ কয়েকটি স্কুল নিয়ে গঠিত এলাকাটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ। এর আগেও ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে মার্কেট টিতে আগুন লেগেছিল। মার্কেটটি নিয়ে কয়েকবার বার সতর্ক করে সিটি কাউন্সিল দ্বারা জোরপূর্বক বন্ধ করা সত্ত্বেও মার্কেটটি পুনরায় খোলার পরপরই সর্বশেষ আগুনের ঘটনা ঘটে।