ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মোংলায় স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত Logo কচুয়ায় শিক্ষার্থী হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন Logo শাহরাস্তিতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ৪ Logo লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে আবারো ৭ জনকে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ Logo বরুড়ায় হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন এর অবস্থান ধর্মঘট পালিত Logo সড়ক দুর্ঘটনায় লাখে প্রায় ১৯ জন নিহত হয় Logo হোমোক্রেসি: নেতৃত্বের নৈতিক রেনেসাঁর সূচনা Logo ৬ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালিত Logo ঝিনাইদহে উচ্চমুল্যের আমদানী বিকল্প ভেষজ উদ্ভিদের জৈব চাষাবাদ বিষয়ক কর্মশালা Logo মোংলায় এক বন্দর কর্মচারীকে দুর্বৃত্তদের গুলি

শ্রীবরদীতে কৃষি প্রণোদনা বীজে বাম্পার ফলন

মো: বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

শেরপুর জেলার ইতিহাসে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা বন্যা ক্ষতিগ্রস্থ করে উপজেলার কৃষকদের। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষতির কারণে বীজ সহ অন্যান্য প্রণোদনার আওতায় আসে শ্রীবরদী উপজেলার প্রায় ১৮হাজার কৃষক। চলতি মওসুমে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদের জন্য দেয়া কৃষি প্রণোদনার এই বীজে বাম্পার ফলন হয়েছে। সময়মতো বীজ হাতে পেয়ে রোপণ করতে পেরে খুশি কৃষকরা। কৃষকদের দাবি, বাজার থেকে ক্রয়কৃত বীজের চেয়ে প্রণোদনার বীজ অনেক ভালো ছিলো। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই ফলন পেয়েছে কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি ও বোরো মৌসুমে শ্রীবরদী উপজেলায় ১৭ হাজার ৭শ কৃষককে কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার কৃষককে বোরো ধান, ৮ হাজার ৫০ জন কৃষককে সরিষা, ৩ হাজার ২শ জন কৃষককে শাকসবজি, ১৭৫ জন কৃষককে গম, ১শ ৮০ জন কৃষককে ভুট্টা, ২৫ জন কৃষককে পেঁয়াজ, ৭০ জন কৃষককে মুগ ও মশুর ডালের প্রনোদনা হিসেবে উন্নত বীজ প্রদান করা হয়। সরিষা ও শাকসবজি চাষিদের সারও প্রদান করা হয়। এতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এসেছে আবাদের আওতায়।

উপজেলার ভারেরা এলাকার কৃষক জাকির হোসেন স্বপন বলেন, আমি এবার সময় মতো কৃষি অফিস থেকে হাইব্রিড ধানের বীজ পাইছি। এই বীজে দশ কাঠা জমির ধানের আবাদ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্য বীজের চেয়ে এই বীজেই ধান ভালো হয়েছে। একই এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি নিজে যে বীজ পেয়েছিলাম সেগুলোর ধানের আবাদ করেছি। অনেক সুন্দর হয়েছে আবাদ। অন্য বীজের ক্ষেতে পোকায় আক্রমণ করেছে। কিন্তু এই বীজের ধান ক্ষেতে পোকায় আক্রমণ করে নাই।

খোশালপুর এলাকার ভুট্টা চাষি নুরুজ্জামান বলেন, এবারের বীজের মান ভালো ছিলো। এছাড়াও কৃষি অফিসের তদারকি ও পরামর্শ ভালো ফলনে সহায়তা করেছে। ইতোমধ্যে ভুট্টা ফলন ঘরে তুলেছি।

চৈতাজানী গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন আতিক বলেন, আমরা ভুট্টা চাষ কমিয়েই দিয়েছিলাম। এবার চাষ ভালো হওয়ায় আগামীতে বেশি চাষ করার চিন্তা ভাবনা করছি। প্রণোদনার বীজ আমাদের ভুল ধারণা পরিষ্কার করেছে।

দহেরপাড় এলাকার ভুট্টা চাষি কফিল উদ্দিন বলেন, কৃষি অফিসের দেয়া বিজ এতো ভালো ফলন হবে আগে ভাবিনি। এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে।

গোসাইপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন বলেন, আমার ব্লকে প্রনোদনার বীজ পেয়ে কৃষকরা আগ্রহের সাথে আবাদ করে ফলন ভালো পেয়েছে। আমরাও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছি।

অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ মোহাম্মদ ওয়াসিফ রহমান বলেন, আমরা কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রণোদনা প্রদান করেছি। এতে কৃষকরা বেনিফিট পেয়েছে। তারা খুব খুশি।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবরিনা আফরিন বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে যাচাইবাছাই করে প্রকৃত কৃষকদের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে ১৭ হাজার ৭শ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনা প্রদান করেছি। আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছি। কৃষকেরা আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী আবাদ করে ফলনও ভালো পেয়েছে। এছাড়াও বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকদের নানা সহযোগিতা করেছি। কৃষক ভালো ফলন পেলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মোংলায় স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত

SBN

SBN

শ্রীবরদীতে কৃষি প্রণোদনা বীজে বাম্পার ফলন

আপডেট সময় ০৫:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

মো: বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

শেরপুর জেলার ইতিহাসে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা বন্যা ক্ষতিগ্রস্থ করে উপজেলার কৃষকদের। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষতির কারণে বীজ সহ অন্যান্য প্রণোদনার আওতায় আসে শ্রীবরদী উপজেলার প্রায় ১৮হাজার কৃষক। চলতি মওসুমে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদের জন্য দেয়া কৃষি প্রণোদনার এই বীজে বাম্পার ফলন হয়েছে। সময়মতো বীজ হাতে পেয়ে রোপণ করতে পেরে খুশি কৃষকরা। কৃষকদের দাবি, বাজার থেকে ক্রয়কৃত বীজের চেয়ে প্রণোদনার বীজ অনেক ভালো ছিলো। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই ফলন পেয়েছে কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি ও বোরো মৌসুমে শ্রীবরদী উপজেলায় ১৭ হাজার ৭শ কৃষককে কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার কৃষককে বোরো ধান, ৮ হাজার ৫০ জন কৃষককে সরিষা, ৩ হাজার ২শ জন কৃষককে শাকসবজি, ১৭৫ জন কৃষককে গম, ১শ ৮০ জন কৃষককে ভুট্টা, ২৫ জন কৃষককে পেঁয়াজ, ৭০ জন কৃষককে মুগ ও মশুর ডালের প্রনোদনা হিসেবে উন্নত বীজ প্রদান করা হয়। সরিষা ও শাকসবজি চাষিদের সারও প্রদান করা হয়। এতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এসেছে আবাদের আওতায়।

উপজেলার ভারেরা এলাকার কৃষক জাকির হোসেন স্বপন বলেন, আমি এবার সময় মতো কৃষি অফিস থেকে হাইব্রিড ধানের বীজ পাইছি। এই বীজে দশ কাঠা জমির ধানের আবাদ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্য বীজের চেয়ে এই বীজেই ধান ভালো হয়েছে। একই এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি নিজে যে বীজ পেয়েছিলাম সেগুলোর ধানের আবাদ করেছি। অনেক সুন্দর হয়েছে আবাদ। অন্য বীজের ক্ষেতে পোকায় আক্রমণ করেছে। কিন্তু এই বীজের ধান ক্ষেতে পোকায় আক্রমণ করে নাই।

খোশালপুর এলাকার ভুট্টা চাষি নুরুজ্জামান বলেন, এবারের বীজের মান ভালো ছিলো। এছাড়াও কৃষি অফিসের তদারকি ও পরামর্শ ভালো ফলনে সহায়তা করেছে। ইতোমধ্যে ভুট্টা ফলন ঘরে তুলেছি।

চৈতাজানী গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন আতিক বলেন, আমরা ভুট্টা চাষ কমিয়েই দিয়েছিলাম। এবার চাষ ভালো হওয়ায় আগামীতে বেশি চাষ করার চিন্তা ভাবনা করছি। প্রণোদনার বীজ আমাদের ভুল ধারণা পরিষ্কার করেছে।

দহেরপাড় এলাকার ভুট্টা চাষি কফিল উদ্দিন বলেন, কৃষি অফিসের দেয়া বিজ এতো ভালো ফলন হবে আগে ভাবিনি। এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে।

গোসাইপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন বলেন, আমার ব্লকে প্রনোদনার বীজ পেয়ে কৃষকরা আগ্রহের সাথে আবাদ করে ফলন ভালো পেয়েছে। আমরাও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছি।

অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ মোহাম্মদ ওয়াসিফ রহমান বলেন, আমরা কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রণোদনা প্রদান করেছি। এতে কৃষকরা বেনিফিট পেয়েছে। তারা খুব খুশি।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবরিনা আফরিন বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে যাচাইবাছাই করে প্রকৃত কৃষকদের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে ১৭ হাজার ৭শ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনা প্রদান করেছি। আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছি। কৃষকেরা আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী আবাদ করে ফলনও ভালো পেয়েছে। এছাড়াও বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকদের নানা সহযোগিতা করেছি। কৃষক ভালো ফলন পেলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়।