স্টাফ রিপোর্টার
আওয়ামী লীগ আমলের চোর-বাটপারদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিত আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করে ‘প্রতিবাদ’।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ডিমের দাম বাড়তো না, যদি অতীতের ডিমের সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনতে পারতেন। পেঁয়াজের সিন্ডিকেট হতো না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হতো না, যদি আওয়ামী লীগের আমলের চোর-বাটপারদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেন। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মিথ্যার জগৎ বানিয়ে ছাড়তে চেয়েছিল। সেই মিথ্যা থেকে ছাত্র-জনতা গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশকে মুক্ত করে দিয়েছে। সেই মুক্তাঙ্গনে এখন আমাদের নেতা বাংলাদেশের অহংকার সরকার পরিচালনা করছেন।
যিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ব্যবস্থা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মতো। জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক সাজতে চেয়েছিল, সেই শেখ মুজিবুর রহমান রাওয়াল পিন্ডির কাছে মাথা নিচু করে সুটকেস গুছিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে সেখানে চলে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনাও দুই দিন আগে বলেছিলেন তিনি পালান না।
তিনি অহংকার করে বলেছিলেন, বিএনপি পালাবার পথ পাবে না। সেই শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ডলার নিয়ে পালিয়েছেন। ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা কী করেন, কী করতে চান, কী করবেন, তা আমাদের দেখার এখনই মোক্ষম সময়। শেখ হাসিনাকে আবারও বাংলাদেশে পুশ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে যদি ক্ষমতায় আনতে চান তাহলে বুঝব আপনারা বাংলাদেশকে আপনাদের অঙ্গরাজ্য বানাতে চান।
বাংলাদেশের মানুষ গরিব হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ভাষার জন্য সংগ্রাম করে ভাষা প্রতিষ্ঠিত করেছে, বাংলাদেশের মানুষ ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে ড. মিলন-আসাদের রক্ত দিয়ে এদেশে আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছে, বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরে খালি পায়ে হাফ প্যান্ট পরে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছে। সেই বাংলাদেশকে ছোট চোখে দেখার চিন্তা দয়া করে করবেন না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে সরকারের কাছে হস্তান্তর করুন। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের মানুষ আর চায় না।
‘প্রতিবাদ’ সংগঠনের সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’র সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মোঃ নেসারুল হক, আ ক ম মোজাম্মেল, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কলামিস্ট ও লেখক রাকেশ রহমান, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দল, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, ওলামা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন, প্রতিবাদ’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোকসেদুর রহমান মুকুল, মাহমুদুল হোসাইন রাকিবসহ প্রমুখ।