ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কটিয়াদীতে সালিশী দরবারে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ

মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে এক সালিশী দরবারে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

উক্ত সালিশ দরবারে কিশোরগঞ্জ-২ কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এবং বিএনপির সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমএ আফজল ছাড়াও জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও হাইস্কুল মাঠে করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নাদিম মোল্লা এবং করগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুর রহমান ফানু মিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এ সালিশের আয়োজন করা হয়।

সালিশ চলা কালে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির পাশাপাশি লাঠিসোটা নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুপক্ষের লোকজন। এই ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উল্লেখ্য, করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাদিম মোল্লার ভাতিজা ফাহাদের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে ১৫ দিন আগে করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাহবুবুর রহমান ফানুকে মারধর করে স্কুলমাঠে নিয়ে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় এলাকায় দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষ্পত্তির জন্য বৃহস্পতিবার করগাঁও ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দুপুরে এ সালিশী দরবারের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এলাকার লোকজন নিয়ে পূর্বনির্ধারিত সালিশি দরবারে বসার পরও তর্কবিতর্ক থেকে এমন অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এ ঘটনায় ৯ নং নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান ফানু বলেন, ‘সালিশে সার্বিক আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এতে তার ভাতিজা সুমন মোল্লা, ফাহাদ মোল্লা, আঙ্গুরসহ তার পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের লোকের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।’কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’

আপলোডকারীর তথ্য

কটিয়াদীতে সালিশী দরবারে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ

আপডেট সময় ১০:৩৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে এক সালিশী দরবারে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

উক্ত সালিশ দরবারে কিশোরগঞ্জ-২ কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এবং বিএনপির সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমএ আফজল ছাড়াও জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও হাইস্কুল মাঠে করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নাদিম মোল্লা এবং করগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুর রহমান ফানু মিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এ সালিশের আয়োজন করা হয়।

সালিশ চলা কালে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির পাশাপাশি লাঠিসোটা নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুপক্ষের লোকজন। এই ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উল্লেখ্য, করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাদিম মোল্লার ভাতিজা ফাহাদের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে ১৫ দিন আগে করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাহবুবুর রহমান ফানুকে মারধর করে স্কুলমাঠে নিয়ে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় এলাকায় দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষ্পত্তির জন্য বৃহস্পতিবার করগাঁও ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দুপুরে এ সালিশী দরবারের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এলাকার লোকজন নিয়ে পূর্বনির্ধারিত সালিশি দরবারে বসার পরও তর্কবিতর্ক থেকে এমন অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এ ঘটনায় ৯ নং নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান ফানু বলেন, ‘সালিশে সার্বিক আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এতে তার ভাতিজা সুমন মোল্লা, ফাহাদ মোল্লা, আঙ্গুরসহ তার পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের লোকের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।’কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’