
টি. আর. দিদার, চান্দিনা (কুমিল্লা)
এক বছরের মধ্যে তিন তিনবার উচ্ছেদ করেও বন্ধ করতে পারছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা-বাগুর বাস স্ট্যান্ড এলাকার অবৈধ দখল । সকালে উচ্ছেদ করলে বিকালেই আবার দখল । প্রশাসনের উদাসীনতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রভাবে হচ্ছে এই অবৈধ দখল । দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন, স্থানীয় সচেতন মহল ।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা-বাগুর বাস স্ট্যান্ড এলাকার উভয় পাশে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে উঠে অবৈধ দোকানপাট । সওজের জায়গা দখল করে প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এসব দোকানিদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করত প্রভাবশালীরা।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর একই স্থানে প্রথমবারের মতো অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় একই স্থানে নতুন দোকান গড়ে ওঠে। পরে গত ১৮ মে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে আবারও প্রায় দুই শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
তবে মাত্র ছয় মাস না যেতেই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পুনরায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় বুধবার (৫ নভেম্বর) তৃতীয়বারের মতো অভিযান পরিচালিত হয়।
প্রশাসনের লোকে দেখানো বারবার উচ্ছেদ অভিযানের পরও একই স্থানে অবৈধ দোকান গড়ে ওঠা দুঃখজনক। প্রশাসনের উদাসীনতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রভাবে হচ্ছে এই অবৈধ দখল । দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন, স্থানীয় সচেতন মহল ।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া। অভিযানে সহযোগিতা করেন হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর একটি টিম।
সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, “মহাসড়কের চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কেউ যেন পুনরায় সরকারি জায়গা দখল না করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা নিয়মিত নজরদারি রাখব।”
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 






















