
মোঃ জাহিদ, ঝালকাঠি
তিন দফা দাবি আদায়ে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলোতেও পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
সরে জমিনে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বিনয়কাঠী ডিগ্রি কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।
এছাড়াও সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সৈয়দা জামিলা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবং নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কলেজ ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিনের দাবি আদায়ে রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে গেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ হয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান এবং বাড়ি ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারীদের জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী অবস্থান কর্মসূচিতে বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, ততক্ষণ আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান করব—ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, সোমবার থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো ইতিবাচক ঘোষণা আসে, তাহলে পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
সংগঠনের নেতারা বলেন, সরকারের ঘোষিত বাড়ি ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও শিক্ষকরা আজ সকাল থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে কর্মবিরতিতে অংশ নিচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তারা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে একই দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। সরকারের উচিত আমাদের দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা।”