
এরশাদুল হক, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী ধোপাজান চলতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহোৎসব চলছে প্রতিনিয়ত। দীর্ঘদিন ধরে নদীটির বালু মহাল ইজারাবিহীন থাকায় সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ধোপাজান নদীতে বালু লুটপাট আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রশাসনের কয়েক দফা তৎপরতা সত্ত্বেও বালু চোরচক্রের দৌরাত্ম্য কমেনি। এই বালু লুটপাটের ঘটনায় একসময় জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) ও ওসি বদলি হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি “লিমপিড” নামের একটি প্রতিষ্ঠান সরকারি প্রকল্পের নামে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলনের অনুমতি নেয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের কাজের আড়ালে টোকেনের মাধ্যমে এসব বালু অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সরকারি অনুমতি ব্যবহার করে বালু চোরচক্র লাভবান হলেও সরকারি রাজস্বের বড় অংশ হারিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, লিমপিড প্রতিষ্ঠানের নামে আদালতে একটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলাটি দায়ের করেছেন আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা গোলাম হোসেন, যিনি অভিযোগ করেছেন যে, প্রতিষ্ঠানটি সরকারি অনুমতির অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ বালু উত্তোলন ও বিক্রিতে জড়িত।
স্থানীয়রা বলছেন, ধোপাজান নদী এখন বালু চোরদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দ্রুত সরকারি নজরদারি না বাড়ালে নদীটির পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব বঞ্চিত হবে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























