
নিজস্ব প্রতিবেদক, পঞ্চগড়
সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৮৭ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে হত্যা চেষ্টা মামলা হয়েছে।
২৮ অক্টোবর ২০০৬ ইং লগী বৈঠার তান্ডবে পঞ্চগড় সদর জালাসী মোড়ে নৃশংস ভাবে আহত পরিবারের সদস্য মোঃ শাহীন আলম আশিক বাদী হয়ে শুক্রবার বিকালে সদর থানায় মামলাটি রুজু করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৮ অক্টোবর ২০০৬ ইং রোজ শনিবার ততকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার আহবানে লগী বৈঠা, লাঠিসোটা সহ যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী নৃশংস তান্ডবলীলার এক নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি করে। লগী বৈঠার তান্ডবে হত্যা ও লাশের উপর নৃত্য যা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারিত হইলে দেশ সহ পুরো বিশ্বের মানুষ হতবিহ্বল ও বাকরূদ্ধ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে অনেক বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের ইতিহাসে প্রকাশ্যে দেশব্যাপী তান্ডবকারীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি।
মামলার বাদী শাহীন আলম আশিক এর কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত জুলাই / আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ আজ ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচার মুক্ত, হাজারো ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশ আজ গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আমি আশাবাদী ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে অন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এই সময়ে আমার বাবা সহ আমাদের হত্যা চেষ্টা ঘটনার সুবিচার পাব।
উল্লেখ : ২৮ অক্টোবর ২০০৬ ইং রোজ – শনিবার ২নং হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকর পারা বাজার হইতে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশে যোগ দিতে
বিএনপি নেতা আবু আলম মুহাম্মদ আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে বিএনপি কর্মী সমর্থক সহ প্রায় ৩০/৪০ জন জালাসী মোড়ে পৌছা মাত্র
প্রায় ১০০/১৫০ সন্ত্রাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়।
হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত হোন আবু আলম মুহাম্মদ আব্দুল হাই হেলাল।
(তিনার মাথায় ১১ টি সেলাই রয়েছে) এছাড়া আহত -শাহীন আলম আশিক, এমরানুল আলম সম্রাট, এহসানুল আলম বাদশাহ সহ অনেকে।
শেখ হাসিনা ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সদস্য পঞ্চগড় ১ এর সাবেক এমপি মাজহারুল হক প্রধান, সাবেক এমপি নাইমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হান্নান শেখ উল্লেখযোগ্য।