ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ও বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের নিয়ে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৩ টায় বরিশাল শহরের এনেক্স ভবনের আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় হয়।

মতবিনিময়ে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত, বিভিন্ন জেলার সংগঠক, আইনজীবী, ডাক্তার, শিক্ষক, আন্দোলনকারী, শ্রমিক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব, ড. মাহমুদা মিতু ও ফয়সাল মাহমুদ শান্ত উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

মতবিনিময়ের শুরুতে আহতদের ফুল দিয়ে বরণ করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ শাওন শিকদারের ভাই মারুফ শিকদার উপস্থিত হয়ে বক্তব্যে রাখেন। বলেন ‘ আমার ভাই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে আমরা চাই সবার অধিকার নিশ্চিত হোক, ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন’
মতবিনিময়ে আহতদের চিকিৎসা বিলম্ব নিয়ে অভিযোগ করেন আহতরা। বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ বলেন সবাই এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যস্ত। কোন রাজনৈতিক দল আহতদের বা শহীদ পরিবারের জন্য কোন উদ্যোগ বা কর্মসূচি করছে না।

আন্দোলনে এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন বেলাল হোসেন। ১৭ জুলাই বরিশাল ভার্সিটির সামনে পুলিশের গুলিতে তিনি চোখের দৃষ্টি হারান। বেলাল বলেন, ‘ আমার চোখের এখনো পূর্ণ চিকিৎসা হয় নি, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমি ফলে পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছে।

মতবিনিময়ে শুভেচ্ছা বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দুই হাজারের অধিক শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দিব না।

বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, ‘যারা আহত শহীদ হয়েছে, তারা এদেশের শাসক হতে চায়নি; তারা দেশের মানুষ খাদ্যের অধিকার চেয়েছে, শিক্ষার অধিকার চেয়েছে, কথা বলার ও বেঁচে থাকার অধিকার চেয়েছে। আগামীর বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে জুলাই অভ্যূত্থান এর শহীদদের আকাংঙ্খাকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। এতদিন শাসক ও ব্যবসায়ী রা রাজনীতির কাঠামো নির্ধারণ করেছে, এখন থেকে এই গেইমের নিয়ম আপনারা, আমরা, তথা জনগণ ঠিক করবে; এটাই আমাদের নতুন রাজনীতি।”

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে কাজ করেন নাগরিক কমিটির সদস্য ডা. মাহমুদা মিতু। তিনি বলেন, শহীদের পরিবার ও আহতরা আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি। সকল তথ্য হালনাগাদ করে শহীদের তালিকা করতে বিলম্বিত হয়েছে। সামনে দ্রুত কাজ হবে।

মতবিনিময়ে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আন্দোলনের সংগঠকরা, সাব্বির হোসাইন, শাহাবুদ্দিনসহ অন্যান্যরা৷ বরিশাল জেলার শাকিল মৃধা ও আবু সাঈদ মূসা সঞ্চালনা করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৭:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ও বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের নিয়ে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৩ টায় বরিশাল শহরের এনেক্স ভবনের আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় হয়।

মতবিনিময়ে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত, বিভিন্ন জেলার সংগঠক, আইনজীবী, ডাক্তার, শিক্ষক, আন্দোলনকারী, শ্রমিক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব, ড. মাহমুদা মিতু ও ফয়সাল মাহমুদ শান্ত উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

মতবিনিময়ের শুরুতে আহতদের ফুল দিয়ে বরণ করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ শাওন শিকদারের ভাই মারুফ শিকদার উপস্থিত হয়ে বক্তব্যে রাখেন। বলেন ‘ আমার ভাই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে আমরা চাই সবার অধিকার নিশ্চিত হোক, ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন’
মতবিনিময়ে আহতদের চিকিৎসা বিলম্ব নিয়ে অভিযোগ করেন আহতরা। বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ বলেন সবাই এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যস্ত। কোন রাজনৈতিক দল আহতদের বা শহীদ পরিবারের জন্য কোন উদ্যোগ বা কর্মসূচি করছে না।

আন্দোলনে এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন বেলাল হোসেন। ১৭ জুলাই বরিশাল ভার্সিটির সামনে পুলিশের গুলিতে তিনি চোখের দৃষ্টি হারান। বেলাল বলেন, ‘ আমার চোখের এখনো পূর্ণ চিকিৎসা হয় নি, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমি ফলে পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছে।

মতবিনিময়ে শুভেচ্ছা বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দুই হাজারের অধিক শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দিব না।

বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, ‘যারা আহত শহীদ হয়েছে, তারা এদেশের শাসক হতে চায়নি; তারা দেশের মানুষ খাদ্যের অধিকার চেয়েছে, শিক্ষার অধিকার চেয়েছে, কথা বলার ও বেঁচে থাকার অধিকার চেয়েছে। আগামীর বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে জুলাই অভ্যূত্থান এর শহীদদের আকাংঙ্খাকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। এতদিন শাসক ও ব্যবসায়ী রা রাজনীতির কাঠামো নির্ধারণ করেছে, এখন থেকে এই গেইমের নিয়ম আপনারা, আমরা, তথা জনগণ ঠিক করবে; এটাই আমাদের নতুন রাজনীতি।”

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে কাজ করেন নাগরিক কমিটির সদস্য ডা. মাহমুদা মিতু। তিনি বলেন, শহীদের পরিবার ও আহতরা আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি। সকল তথ্য হালনাগাদ করে শহীদের তালিকা করতে বিলম্বিত হয়েছে। সামনে দ্রুত কাজ হবে।

মতবিনিময়ে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আন্দোলনের সংগঠকরা, সাব্বির হোসাইন, শাহাবুদ্দিনসহ অন্যান্যরা৷ বরিশাল জেলার শাকিল মৃধা ও আবু সাঈদ মূসা সঞ্চালনা করেন।