মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া
কুমিল্লার বরুড়ায় গত ১৫ দিনে ৯জন নাবালিকা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
৩৩৩ টি গ্রাম ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে বরুড়া উপজেলা গঠিত। প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস এই উপজেলায়।
প্রতি মাসে দেখা যায় এই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণির মেয়ে শিক্ষার্থীরা সম্পর্ক জনিত কারণে ছেলেদের সাথে পালিয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে অভিভাকগণ থানায় এই নিয়ে নিখোঁজ ডায়েরী করেন।
কোন কোন পরিবার আছে মান সন্মানের ভয়ে স্বীকার করে না তার মেয়েটি পালিয়ে গেছে কোন ছেলের হাত ধরে। ফলে নিখোঁজ ডায়েরী নিয়ে হাজির হয় বরুড়া থানায়। এই উপজেলায় এমন কোন বাড়ি নেই যেই বাড়িতে প্রবাসী নেই। যার ফলে পুরুষ অভিভাবকের শূন্যতায় পরিবারের তদারকি শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনুসন্ধানে দেখা যায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরী আবেদন কারীর অধিকাংশই শিক্ষার্থীদের মা।
শিক্ষার্থীদের বাহিরে ও অনেক নাবালিকা আছে লেখা পড়া করে না এ ধরনের মেয়েদের মাঝে ও এ প্রবণতা লক্ষণীয়।
১২ নভেম্বর দশম শ্রেণির সামিয়া আক্তার (১৬) ও সুমাইয়া আক্তার (১৮) নামের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীর নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়।
৪ নভেম্বর ২৪ ইং খুকী ও আক্তার নামে দুজন নিখোঁজের ডায়েরি হয় বরুড়া থানায় করা হয়।
৭ নভেম্বর ২৪ ইং সুমাইয়া (১৪) রাইয়ান (১৪) দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর নিখোঁজ ডায়েরী করেন থানায় তাদের পরিবার।
এই ভাবে প্রতিনিয়ত বরুড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরী পাতায় ভরে যায় মায়েদের আবেদনে।অনেকে আবার নিখোঁজের আবেদন করে জিডি করে মেয়েটি কে উদ্ধার করার জন্য থানা প্রশাসন কে অনুরোধ করেন।গত ১৫ দিনে ফাহিমা, নুরজাহান, শাহানারা,তপন্তী, রোকেয়া, খাদিজা, সেলিন,আয়শা, মেহেরুন নামে অনেকের নিখোঁজ ডায়েরী ও আবেদন হয়েছে বরুড়া থানায়। নিখোঁজ ডায়েরী বাহিরে ও অনেকে আছেন এই পালিয়ে যাওয়ার খাতায়। তাদের পরিবার থানায় কোন আবেদনই করেন না।
ওরাই আপনজন সামাজিক সংগঠন বরুড়া কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুকুল ইসলাম বলেন, পরিবার থেকে যাতে করে মেয়েরা প্রেমে না জড়াতে পারে বা পালিয়ে না যাওয়ার বিষয়ে পরিবার কে আগে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে সবার আগে। ছেলে মেয়েদের কে এ বিষয় ক্ষতিকর দিকের বিষয় জ্ঞান দিতে হবে। এ বিষয় শিক্ষকদের ভূমিকা আবশ্যকীয়। একাদশ শ্রেনীর আগে মোবাইল থেকে বিরত রাখতে পারলে কিছুটা হলে ও সুফল পাওয়া যাবে।
বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কাজী নাজমুল হক বলেন, প্রতিদিন ২/৩ টি নিখোঁজ ডায়েরী হচ্ছে। অনুসন্ধান করলে জানা যায় অধিকাংশই প্রেম সংঘঠিত ঘটনা। পুলিশ উদ্বার করে নিয়ে আসলে মেয়েরা বলে স্বেচ্ছায় চলে গেছি। তাঁকে বিয়ে করতে চাই, ইত্যাদি
বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং বলেন গণ সচেতনতার বিকল্প নেই। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে পরিবার সমাজ সবাই এগিয়ে আসতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.