ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ব্যাটিং ব্যর্থতায় এশিয়া কাপে টাইগারদের হার

স্পোর্টস ডেস্ক: মাঠে নামার আগে থেকেই বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ ছিল ওপেনিং। সেই শঙ্কায় যেন সত্যি হয়েছে। ব্যর্থ হয়েছেন তানজিদ তামিম, পারেননি নাঈম শেখও। বাজে শুরুর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ধ্বংস্তূপে দাঁড়িয়ে লড়েছেন কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ৮৯ রানে ইনিংসে কোনোরকমে দেড়শো পার হয় বাংলাদেশ। এই স্বল্প পুঁজি নিয়ে অবশ্য যথেষ্ট লড়াই করেছেন বোলাররা। নতুন বলে তাসকিন আহমেদের গতি আর সুইংয়ের পর মিডল ওভারে সাকিব-মেহদীর ঘূর্ণিতে কঠিন পরীক্ষায় দিতে হয়েছে লঙ্কান ব্যাটারদের। তবে তাদের ৫০ ওভার আটকে রাখার জন্য ১৬৪ রান যথেষ্ট ছিল না।

টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪২ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। জবাবে ৩৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। এই হারে আসরে টিকে থাকার সমীকরণটা বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন হয়ে গেছে।
ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল বোলিংয়ে ভালো শুরু। সেটা এনে দেন তাসকিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলাম খানিকটা খরুচে হলেও পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরেই লাগাম টেনে ধরেন তাসকিন। ইনিংসের তৃতীয় আর তাসকিনের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি ফুলার লেংথে ছিল, সেটি আবার ঢুকছিল ভেতরের দিকে। তাতে লাইন মিস করে গেছেন দিমুথ করুনারত্নে। হয়েছেন বোল্ড।
প্রথম ওভারেই বাউন্ডারি হজম করেছিলেন শরিফুল। মোট ৯ রান দিয়েছিলেন সেই ওভারে। তারপরও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আবার শরীফুলেই আস্থা রাখেন সাকিব। উইকেট শিকার করে অধিনায়কের সেই আস্থার প্রতিদান দেন শরিফুল। রাউন্ড দ্য উইকেট করা ওভারের তৃতীয় বলটি বেরিয়ে যাচ্ছিল পাথুম নিশাঙ্কার কাছ থেকে, তাতে ব্যাট চালান তিনি। সামনে ঝুঁকে ভালো ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেট জুটি জমিয়ে তুলেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। তবে মেন্ডিসকে বেশি দূর এগোতে দেননি সাকিব। আগের ওভারে মোস্তাফিজকে চার মারলেও সাকিবের আর্ম বলের কোনো জবাব দিতে পারেননি মেন্ডিস। ইনিংসে দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কান হিসেবে বোল্ড হন তিনি। তাতে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ভালোভাবেই রাখেন অধিনায়ক। ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তুলে প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
৪৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সে সময়ও ম্যাচে ভারসাম্য ছিল, বলাই যায়। কিন্তু সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিত আসালাঙ্কার জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই ঝুঁকে পড়ে স্বাগতিকদের দিকে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে যেভাবে এগোচ্ছিল শ্রীলঙ্কা তাতে মনে হচ্ছিল তারা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে দুই ব্যাটার। অবশেষে সামারাবিক্রমাকে থামাতে পেরেছে বাংলাদেশ। ৩০তম ওভারের প্রথম বলে মেহেদীকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেছেন সামারাবিক্রমা। মুশফিক যে খুব ভালোভাবে বলটি নিতে পেরেছেন, তা নয়। তবে সময় ছিল যথেষ্ট। স্টাম্প ভাঙতে অসুবিধা হয়নি মুশফিকের। এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে ৫৪ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে ৭৮ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী।

আগে টানা দুই ওভার মেইডেন নেওয়ার পর ৩১তম ওভারে এসে উইকেটেরও দেখা পান সাকিব। শেষ বলে সাকিবকে এগিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লাইন মিস করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। আর বল সরাসরি আঘাত হানে স্টাম্পে। তাতে পঞ্চম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর আর কিছুই করতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। বাকি কাজটা দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবেই সারেন আসালঙ্কা।

আপলোডকারীর তথ্য

বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে

ব্যাটিং ব্যর্থতায় এশিয়া কাপে টাইগারদের হার

আপডেট সময় ১০:৫১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক: মাঠে নামার আগে থেকেই বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ ছিল ওপেনিং। সেই শঙ্কায় যেন সত্যি হয়েছে। ব্যর্থ হয়েছেন তানজিদ তামিম, পারেননি নাঈম শেখও। বাজে শুরুর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ধ্বংস্তূপে দাঁড়িয়ে লড়েছেন কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ৮৯ রানে ইনিংসে কোনোরকমে দেড়শো পার হয় বাংলাদেশ। এই স্বল্প পুঁজি নিয়ে অবশ্য যথেষ্ট লড়াই করেছেন বোলাররা। নতুন বলে তাসকিন আহমেদের গতি আর সুইংয়ের পর মিডল ওভারে সাকিব-মেহদীর ঘূর্ণিতে কঠিন পরীক্ষায় দিতে হয়েছে লঙ্কান ব্যাটারদের। তবে তাদের ৫০ ওভার আটকে রাখার জন্য ১৬৪ রান যথেষ্ট ছিল না।

টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪২ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। জবাবে ৩৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। এই হারে আসরে টিকে থাকার সমীকরণটা বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন হয়ে গেছে।
ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল বোলিংয়ে ভালো শুরু। সেটা এনে দেন তাসকিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলাম খানিকটা খরুচে হলেও পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরেই লাগাম টেনে ধরেন তাসকিন। ইনিংসের তৃতীয় আর তাসকিনের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি ফুলার লেংথে ছিল, সেটি আবার ঢুকছিল ভেতরের দিকে। তাতে লাইন মিস করে গেছেন দিমুথ করুনারত্নে। হয়েছেন বোল্ড।
প্রথম ওভারেই বাউন্ডারি হজম করেছিলেন শরিফুল। মোট ৯ রান দিয়েছিলেন সেই ওভারে। তারপরও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আবার শরীফুলেই আস্থা রাখেন সাকিব। উইকেট শিকার করে অধিনায়কের সেই আস্থার প্রতিদান দেন শরিফুল। রাউন্ড দ্য উইকেট করা ওভারের তৃতীয় বলটি বেরিয়ে যাচ্ছিল পাথুম নিশাঙ্কার কাছ থেকে, তাতে ব্যাট চালান তিনি। সামনে ঝুঁকে ভালো ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেট জুটি জমিয়ে তুলেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। তবে মেন্ডিসকে বেশি দূর এগোতে দেননি সাকিব। আগের ওভারে মোস্তাফিজকে চার মারলেও সাকিবের আর্ম বলের কোনো জবাব দিতে পারেননি মেন্ডিস। ইনিংসে দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কান হিসেবে বোল্ড হন তিনি। তাতে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ভালোভাবেই রাখেন অধিনায়ক। ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তুলে প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
৪৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সে সময়ও ম্যাচে ভারসাম্য ছিল, বলাই যায়। কিন্তু সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিত আসালাঙ্কার জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই ঝুঁকে পড়ে স্বাগতিকদের দিকে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে যেভাবে এগোচ্ছিল শ্রীলঙ্কা তাতে মনে হচ্ছিল তারা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে দুই ব্যাটার। অবশেষে সামারাবিক্রমাকে থামাতে পেরেছে বাংলাদেশ। ৩০তম ওভারের প্রথম বলে মেহেদীকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেছেন সামারাবিক্রমা। মুশফিক যে খুব ভালোভাবে বলটি নিতে পেরেছেন, তা নয়। তবে সময় ছিল যথেষ্ট। স্টাম্প ভাঙতে অসুবিধা হয়নি মুশফিকের। এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে ৫৪ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে ৭৮ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী।

আগে টানা দুই ওভার মেইডেন নেওয়ার পর ৩১তম ওভারে এসে উইকেটেরও দেখা পান সাকিব। শেষ বলে সাকিবকে এগিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লাইন মিস করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। আর বল সরাসরি আঘাত হানে স্টাম্পে। তাতে পঞ্চম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর আর কিছুই করতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। বাকি কাজটা দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবেই সারেন আসালঙ্কা।